ইরানে হামলা: ইসরাইলকে আকাশপথে কেন বাধা দেয়নি সিরিয়া?

২ সপ্তাহ আগে
১২ দিনের সংঘাতে ইরানে হামলার সময় অসংখ্যবার সিরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলো। কিন্তু তাতে কোনো বাধা দেয়নি সিরিয়ার আহমেদ আল শারার নতুন সরকার। এমনকি এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ পর্যন্ত নেয়নি সিরিয়া।

হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমাতজিয়া বারাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরাইলকে ইরানে হামলার সুযোগ দেয়ায় সিরিয়ার নবগঠিত সরকারের উপকার হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ইসরাইলি গণমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টে আমাতজিয়া'র সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।

 

টানা ১২ দিনের সংঘাতে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখে তেহরান। একইসময়ে সিরিয়ার অন্তবর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ও তার কার্যালয়ও পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখে।

 

আরও পড়ুন: আমরা খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সুযোগই পাইনি: ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

 

বারামের মতে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানকে বাধা না দেয়ার সিরিয়ার নেতার সিদ্ধান্ত আগামী বছরগুলোতে উত্তর সীমান্তকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করতে পারে।

 

তিনি বলেন, আমি যদি আল-শারা র জায়গায় থাকতাম, তাহলে আমার দেশের নাগরিকদের বলতাম আমি ইসরাইলি বিমান বাহিনীর কার্যক্রমকে কঠিন করে তুলতে পারলেও এ ধরনের উদ্যোগে আমার কোনো স্বার্থ জড়িত নেই।

 

আরও পড়ুন: গাজায় বর্বরতা চলছেই, একদিনে আরও ৭১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

 

এই বিশ্লেষক আরও বলেন, আমি সিরিয়ার নেতা হলে আরও বলতাম, ইসরাইল ইরানে যত আক্রমণ করবে ততেই আমরা স্বার্থ সিদ্ধি হবে।
এক্ষেত্রে সিরিয়ার আগ্রহ স্পষ্ট। কৌশলগত দিক দিয়ে এ অঞ্চলে দামেস্কের নতুন শাসকদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান। ইরানকে দুর্বল করে এমন যেকোনো হামলা আল-শারার সরকারের জন্য উপকারী।

 

আমাতজিয়া বারাম ব্যাখ্যা দেন, মূলত এ কারণেই ইসরাইলি সামরিক অভিযানে বাধা দেয়ার ক্ষমতা থাকলেও সে পথে পা দেয়নি সিরিয়া।

 

এছাড়া ভূরাজনৈতিক স্বার্থের বিষয়টি ছাড়াও ইসরাইলের এই সামরিক অভিযান থেকে সিরিয়া সম্পর্কে আল-শারা দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছেন। প্রথমত, ইসরাইলি বিমানবাহিনীর কার্যক্রমের পরিধি সম্পর্কে তিনি ধারণা পেয়েছেন। দ্বিতীয় শিক্ষা হলো-ইসরাইলের গোয়েন্দা ও গুপ্তচরদের সক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা। 

 

(জেরুজালেম পোস্ট থেকে সংক্ষেপে অনূদিত)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন