ইসরাইল-ইরানের ১২ দিনের সংঘাতে ক্ষতির মুখে পড়ে তেহরানের এফ-১৪, এফ-৫ যুদ্ধবিমান। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রুশ এস-৩০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। সেই ঘাটতি পূরণে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে রাশিয়া থেকে বিভিন্ন সিরিজের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিনছে ইরান।
এরই ধারাবাহিকতায় রাশিয়ার মিগ-২৯ এস যুদ্ধবিমান তেহরানে পৌঁছেছে। ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি বিষয়ক কমিটির এক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নতুন যুদ্ধবিমানগুলো বর্তমানে শিরাজ ঘাঁটিতে অবস্থান করছে বলে জানান তিনি।
মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের এই চালানকে ‘স্বল্পমেয়াদি সমাধান’ হিসেবে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, তেহরান আরও উন্নত রুশ এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ইরানের দাবি শিগগিরই এ বহরে যোগ দেবে রুশ এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন খামেনি
পাশাপাশি থাকছে চীনের এইচকিউ-৯ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘একবার এই ব্যবস্থাগুলো সম্পূর্ণরূপে বহরে যোগ হয়ে গেলে, শত্রুরা আমাদের ক্ষমতার ভাষা বুঝতে পারবে।’
সামরিক বিশ্লেষকদের দাবি, অস্ত্র সরবরাহের পেছনে মস্কোর রাজনৈতিক হিসাবও স্পষ্ট। ইউক্রেন যুদ্ধ আর নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত রাশিয়া জোট গড়ছে তেহরানের সঙ্গে। আর ইরানের তেল কিনে নেওয়া চীন আপাতত নীরব থেকেও মধ্যপ্রাচ্যের নতুন সমীকরণের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুশ যুদ্ধবিমান হাতে পাওয়া ইরানের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হলেও আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য বদলাবে কি না তার উত্তর মিলবে এসইউ-৩৫ আর উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাস্তব মোতায়েনেই।
আরও পড়ুন: দ্রুত পরমাণু বোমা তৈরির দাবি ইরানের কট্টরপন্থি এমপিদের
তথ্যসূত্র: ইরান ইন্টারন্যাশনাল, জেরুজালেম পোস্ট ও নিউজউইক।
]]>