যুদ্ধ থামলেও থেমে নেই ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা। কূটনৈতিক পর্যায়ে এখনও দুই দেশের মধ্যে চলছে রেষারেষি। এতে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
এই যুদ্ধের জেরে, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের দাবি তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানিত সংস্থাগুলোর পরিদর্শন ছাড়া ইরানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কোনো সমঝোতা সম্ভব নয়।
এরই মধ্যে তেহরান জাতীয় পরিষদ আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্থগিতের বিল পাস করেছে। ইরানের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজন হলে ফের বোমা হামলা’র হুমকি দেন ট্রাম্প। বলেন, ইরান যদি আবার উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে, তাহলে ‘নতুন করে হামলার প্রশ্নে কোনো দ্বিধা থাকবে না’।
আরও পড়ুন: ইরানকে আলোচনায় ফেরাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র, ৩০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব
গত ইরানে ১৩ জুন হামলা চালায় ইসরাইল। এর পর থেকে টানা ১২ দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলে। এই সংঘাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ‘বাজেভাবে মার খেয়েছেন’ বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৩ জুন ইরান-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তিনি বলেন, সংঘাত থামানোর জন্য সেটিই ছিল উপযুক্ত সময়।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি এই হামলাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের মুখে চপেটাঘাত’ বলে উল্লেখ করলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ট্রাম্প। জানান, তিনি ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার একটি পরিকল্পনায় কাজ করছিলেন, কিন্তু খামেনির আক্রমণাত্মক বিবৃতি পাওয়ার পরপরই সব স্থগিত করেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ঘৃণা ও বিদ্বেষে ভরা বিবৃতির পর তিনি সব আলোচনা বাতিল করেছেন।
আরও পড়ুন: ইরানের ইউরেনিয়াম সরানো নিয়ে ধোঁয়াশায় মার্কিন গোয়েন্দারা
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘এনফোর্সমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি করতে। ইসরাইলের আকাশ নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা, ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থামানো এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ইরানের সহায়তার জবাব দেয়ার জন্য এই পরিকল্পনা বলে জানান তিনি। কাৎজ বলেন, যুদ্ধের পরও তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ইরানের হুমকি এখনও শেষ হয়নি।
]]>