সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ইরান-ইসরাইল। ইসরাইলি হামলায় ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৪ জনে। তবে প্রাণহানির সংখ্যা ইসরাইলে এখনও ‘নিয়ন্ত্রিত’।
কারণ, দেশটিতে প্রযুক্তির সঙ্গে রয়েছে কৌশলগত বিন্যাস। হোম ফ্রন্ট কমান্ড, সতর্কবার্তা ও বোমা প্রতিরোধী কক্ষই দেশটির বাসিন্দাদের প্রাণরক্ষার ঢাল।
বলা হচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ এবং আগাম সতর্কতার কারণে ইসরাইলে প্রাণহানি কম।
আরও পড়ুন: এবার ইরান-ইয়েমেন থেকে একযোগে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা!
তেল আবিবের বহুতল ভবনের নবম তলায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলেও বোমা প্রতিরোধী কক্ষে আশ্রয় নেয়ায় শত শত মানুষ অক্ষত ছিলেন। অন্যদিকে, রামাত গানে পুরনো ভবনের বেজমেন্টে লুকিয়ে বেঁচে যান বাসিন্দারা।
এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড অ্যাপ’।
উৎক্ষেপণের পর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে ইসরাইলে পৌঁছাতে সাধারণত প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু এই অ্যাপ দিয়ে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কয়েক মিনিট আগেই হামলার বিষয়টি শনাক্ত করতে পারে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড’ গেল শনিবার জানায়, তারা ইরানের সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫-৩০ মিনিট আগে ফোনে সতর্কবার্তা পাঠানো শুরু করে, যাতে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়।
আরও পড়ুন: সংঘাতের ‘শেষ পরিণতি’ হতে পারে ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন: নেতানিয়াহু
এছাড়া, বেসামরিক নাগরিকদের বোমা প্রতিরোধী কক্ষের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
]]>