শুক্রবার (২৭ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন বলেন তিনি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হামলায় পারমাণবিক স্থাপনায় ‘গুরুতর’ ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক ‘দশক’ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক গ্রোসি বলেছেন, এখনো ‘কিছু টিকে আছে’। শনিবার প্রকাশিত সাক্ষাতকারে গ্রোসি বলেন, ‘আমি বলব, কয়েক মাসের মধ্যে তারা কয়েকটি সেন্ট্রিফিউজ ঘুরিয়ে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম তৈরি করতে পারে, অথবা তার চেয়ে কম।’
আরও পড়ুন: ইস্পাহানে যে কারণে ‘বাংকার বাস্টার' ফেলেনি যুক্তরাষ্ট্র
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, হামলার আগে ইরান কি তার আনুমানিক ৪০৮.৬ কিলোগ্রাম (৯০০ পাউন্ড) উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের কিছু বা পুরোটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছিল?
তিনি বলেন, ‘ওই ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করা হয়েছে, যা বেসামরিক ব্যবহারের মাত্রার চেয়ে বেশি কিন্তু অস্ত্র গ্রেডের নিচে। এটি যদি আরও পরিমার্জন করা হয় তবে তাত্ত্বিকভাবে নয়টিরও বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট হবে।’
সিবিএসকে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না এই উপাদান কোথায় থাকতে পারে। সুতরাং হামলার অংশ হিসেবে কিছু ধ্বংস হতে পারে। আবার সরিয়ে নেয়া হতে পারে। সুতরাং একটা ব্যাখ্যা থাকা দরকার।’
আরও পড়ুন: ‘ড্যাডি’ ট্রাম্পের কাছে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না ইসরাইলের: আরাঘচি
আপাতত, ইরানি আইন প্রণেতারা আইএইএকে সহযোগিতা স্থগিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং তেহরান ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো, বিশেষ করে প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সুবিধা ফোরদো পরিদর্শনের জন্য গ্রোসির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
গ্রোসি বলেন, ‘সেখানে কী আছে ও কোথায় আছে এবং কী ঘটেছে তা নিশ্চিত করতে আমাদের এমন অবস্থানে থাকতে হবে।’
]]>