সানার যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় রোববার (২৭ এপ্রিল) একটি বিবৃতি জারি করে নির্দেশিকার রূপরেখা প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিভাইসগুলো (স্টারলিংকের) পাবলিক টেলিকমিউনিকেশন করপোরেশন (পিটিসি)-এর কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই নির্দেশ না মানলে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সমন্বিত অভিযান চালিয়ে অননুমোদিত সরঞ্জাম জব্দ করা হবে।
পাশাপাশি, এই ‘নিষিদ্ধ’ ডিভাইসগুলো বিক্রি, বিতরণ বা রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করছেন ইলন মাস্ক
ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধ দেশটির যোগাযোগ খাতকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। প্রায়শই দুর্বল পরিষেবার অভিযোগ রয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের।
জানা যায়, গেল সেপ্টেম্বরে ইয়েমেন স্টারলিংক পরিষেবা চালু হয়। দেশটির ‘অবিশ্বস্ত’ স্থানীয় নেটওয়ার্কগুলোর কারণে অনেকেই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। ইয়েমেনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টারলিংক পরিষেবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইলন মাস্ক।
তবে স্টারলিংকের সমালোচনা করে এটিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি’ এবং ইয়েমেনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে হুতি গোষ্ঠী। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ স্টারলিংককে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে এবং নাগরিকদের এটি ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করেছে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, বহু নিহতের আশঙ্কা
তবে স্টারলিংকের বৃহৎ পরিসরে পরিষেবা ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন একজন ঊর্ধ্বতন ইয়েমেনি কর্মকর্তা।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
]]>