ইমরান খানের মুক্তির দাবি, পেশোয়ারে সমর্থকদের ঢল

৩ দিন আগে
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ। স্থানীয় সময় শনিবারের আন্দোলনে পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান, গিলগিত-বালতিস্তান থেকে দলে দলে যোগ দেন তার সমর্থকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সমর্থকদের ঢল প্রমাণ করছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত থামলেও জনপ্রিয়তা হারাননি ইমরান।

স্থানীয় সময় শনিবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে জড়ো হন হাজারো সমর্থক। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরটির সমাবেশে যোগ দেন তার বোন আলিমা খানও।

 

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে কড়া বার্তা দিয়েছেন খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর। তার সরকার প্রদেশটিতে কোনো সামরিক অভিযান সমর্থন করে না বলেও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। 

 

আয়োজকদের দাবি, শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া না; পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান, গিলগিত-বালতিস্তান ও আজাদ কাশ্মীর থেকেও ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। 

 

আরও পড়ুন: ইমরান খানের বোনের ওপর ডিম নিক্ষেপ, আটক ২

 

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে, ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে তাকে অপসারণ করা হয়। ২০২৩ সালের মে মাসে তার গ্রেফতার ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয় সহিংস বিক্ষোভ, যার দায়ে পিটিআইয়ের ওপর নেমে আসে কঠোর দমননীতি।

 

ইমরান খানের দাবি, তার বিরুদ্ধে সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেনাবাহিনীর মদদেই পিটিআই ভাঙার চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে শত শত নেতা-কর্মী ও পার্লামেন্ট সদস্য ২০২৩ সালের বিক্ষোভ সংশ্লিষ্ট অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

 

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উত্থান হয় পিটিআই-এর। তবে দলটির অভিযোগ, ভোট কারচুপির কারণে আরও আসন থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা। শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দল মিলে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। অবশ্য নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন