ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় স্থগিত

২ সপ্তাহ আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে আল–কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদের জবাবদিহি আদালত রায় ঘোষণা স্থগিত করেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

আদালতে বিচারপতি নাসির জাভেদ রানা বলেন, ‘আজ রায় ঘোষণা করা হবে না। ছুটি (আদালতে) শুরু হচ্ছে এবং হাইকোর্টে একটি কার্যধারাও আছে।’

 

শিগগিরই রায় ঘোষণার জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

পাকিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে আদালতে শীতকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে। এ ছুটি চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

 

রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান বর্তমানে দেশটির রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি। ১৯ কোটি পাউন্ড তছরুপের অভিযোগে তার ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি করেছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। এ মামলায় গত বছরের মে মাসে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির এই মামলায় ইমরান ও বুশরাকে অভিযুক্ত করা হয়।

 

আরও পড়ুন: ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান ও বুশরা বিবি বাহরিয়া টাউন লিমিটেডের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি অর্থ এবং অনেক জমি নিয়েছিলেন। ইমরানের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী পিটিআই সরকারের সময় যুক্তরাজ্য পাকিস্তানকে যে পাঁচ হাজার কোটি রুপি পরিমাণ অর্থ ফেরত দিয়েছিল, তা বৈধ করতে এসব লেনদেন হয়েছে।

 

ডিসেম্বরে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) ইমরান, তার স্ত্রী বুশরাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আল–কাদির বিশ্ববিদ্যালয়সংক্রান্ত দুর্নীতির একটি অভিযোগ আনে।

 

এনএবির জমা দেয়া রেফারেন্সে অভিযোগ করা হয়, বর্তমানে কারাগারে থাকা ইমরান করাচির বাহরিয়া টাউন কোম্পানির মালিকানাধীন জমি বেচাকেনার কাজে ব্যবহৃত একটি অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তরে ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রেখেছেন।

 

আরও পড়ুন: ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে নতুন ৮ মামলা

 

এনএবি আরও দাবি করেছে, নিজস্ব কর্মকাণ্ডের ন্যায্যতা প্রমাণ এবং তথ্য প্রদানের একাধিক সুযোগ দেয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এক বা একাধিক অজুহাতে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন