ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল ইসরাইল

১ সপ্তাহে আগে
অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইব্রাহিমি মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইসরাইলি সেনারা। হেবরন শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ইহুদিদের উৎসব সারা'স ডে উপলক্ষে এই পদক্ষেপ নিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, সারা'স ডে উপলক্ষে শুক্রবার (শুক্রবার) শোভাযাত্রা করে ওল্ড সিটিতে প্রবেশ করে ইহুদিরা। সেদিনই শহরটিতে কারফিউ জারি করা হয়।

 

এতে শহরটিতে বসবাসরত বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই বাইরে থেকে ঢুকতে না পেরে আত্মীয়দের বাসায় রাত পার করছেন। শনিবার রাতেও একইভাবে শোভাযাত্রা করে অবৈধ বাসিন্দারা। তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

 

স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের ধারণা, উৎসব উদযাপনের নামে কারফিউ জারি করে আসলে ইব্রাহিমি মসজিদের সম্পূর্ণটা দখল করে সেটিকে ইহুদীদের উপাসনালয় সিনাগগে রূপান্তর করতে চাইছে। এ চেষ্টার অংশ হিসেবেই সেখানে মুসলিমদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি জনগণ বলে কিছু নেই: ইসরাইলি নিরাপত্তামন্ত্রী

 

ইব্রাহিমি মসজিদ হেবরন নগরীর ওল্ড সিটিতে অবস্থিত। যে এলাকাটি পুরোপুরিভাবে ইসরাইলের দখলে। সেখানে প্রায় ৪০০ ইহুদি পরিবার অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করেছে। তাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য মোতায়েন আছে প্রায় দেড় হাজার সেনা।

 

১৯৯৪ সালে ইসরাইল মসজিদ কমপ্লেক্সটি ভাগ করে। এটির ৬৩ শতাংশ ইহুদিদের জন্য ও ৩৭ শতাংশ মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। সে সময় একজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ২০ ফিলিস্তিনি মুসল্লিকে হত্যা করেছিলেন।

 

ইসরাইল বছরে ১০ দিন মুসলিমদের জন্য ইব্রাহিমি মসজিদ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখে। এ সময়ে ইহুদিরা ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপন করেন।

 

এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজাসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে থেমে নেই ইসরাইলি আগ্রাসন। পশ্চিম তীরের তুবাস শহরের দক্ষিণে অবস্থিত ফার'য়া শরণার্থী শিবিরে ১৫ বছর বয়সী নবম শ্রেণির ছাত্রকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া জেনিনের পশ্চিম অংশে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি।

 

আরও পড়ুন: শীতকালীন বৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

 

জেরুজালেমের কেবিনেট সভায় হামাসকে অস্ত্রহীন করার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, কোনো শর্তেই পশ্চিম তীর বা গাজার অংশে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে মেনে নেবে না ইসরাইল।

 

তিনি আরও বলেন, গাজার অংশে হামাসের অস্ত্রহীন করার প্রক্রিয়া ‘সহজ বা কঠিন’ যেভাবে হোক, তা বাস্তবায়িত হবে। এটি শুধু তার ব্যক্তিগত মন্তব্য নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও একই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

 

এরইমধ্যে গাজার পূর্বাঞ্চলে বুলডোজার ও হামাসের সদস্যদের সাহায্যে ইসরাইলি বন্দিদের মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মার্কিন স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি অনুযায়ী, একজন ইসরাইলির মরদেহের বিনিময়ে ১৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দেয়া হবে। এখনও তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার বাকি রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন