ইবরাহিম আলাইহিস সালামের যুগে হজ যেমন ছিল

৪ দিন আগে
আদম আলাইহিস সালামের যুগে কাবা নির্মিত হলেও নুহ আলাইহিস সালামের যুগে হওয়া মহাপ্লাবনে তা ভেঙে যায়। ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও ইসমাইল আলাইহিস সালাম তা একই স্থানে পুনর্নির্মাণ করেন। এরপর আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে জিবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে হজের পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। তারপর তারা সে অনুযায়ী হজ পালন করেন।

একদিন ইবরাহিম আলাইহিস সালাম স্বপ্নের মাধ্যমে তার প্রিয়পুত্রকে জবাই করার জন্য আদিষ্ট হন। ইসমাইল আলাইহিস সালামকে তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। পরে তাকে জবেহ করার চেষ্টা করে হলে আল্লাহ তাআলা তার কুরবানিকে কবুল করে নেন। এ ব্যাপারে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে এভাবে,

 

অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম বললেন, ‘হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ‘হে পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন। (সুরা সাফফাত ১০২)

 

কোরবানির স্থলে যাওয়ার সময় শয়তান যখন ইসমাইল আলাইহিস সালামকে প্ররচনা করার চেষ্টা করে তখন তিনি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করেন। তিন জায়গায় এই পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

 

এর আগে আল্লাহ তাআলার নির্দেশে যখন ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তার স্ত্রী হাজেরা আলাইহাস সালাম ও শিশু পুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালামকে মক্কায় রেখে যান তখন সেখানে কোনো মানুষ, গাছপালা ও খাবার-পানি ছিলো না। হাজেরা আলাইহাস সালাম তখন পানির খোঁজে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে দৌড় দিয়েছিলেন।

 

আরও পড়ুন: ১০২ বছরে হজের খুতবা দিয়েছেন যে ১৫ জন খতিব

 

আল্লাহ তাআলা হাজেরা, ইবরাহিম ও ইসমাইল আলাইহিমুস সালামের এই চেষ্টা ও কোরবানিকে এতই কবুল করেছেন যে তাদের প্রতিটি কাজকে হজের কার্যাবলীর অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন।


প্রাক ইসলামি যুগে হজ


হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের আগেও আরবরা হজ পালন করতো। ইবারাহীম আলাইহিস সালামের যুগ থেকেই এই হজের প্রচলন চলে আসে। 

 

এজন্য আরবরা হজের মাসগুলোতে তথা শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ এবং হজ পরবর্তী শাওয়াল মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ করতো না। 

 

কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতো এবং হজের বিভিন্ন রীতি পালন করতো যা ইবরাহিম আলাইহিস সালামের দেখানো হজ থেকে ভিন্ন ও বিকৃত ছিলো। তারা সাফা-মারওয়া পাহাড়ে এবং কাবা ঘরে মূর্তি রেখে পূজা করতো। উলঙ্গ হয়ে কাবা ঘর তাওয়াফ করতো।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন