বুধবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।
সচিব বলেন, ‘আমি সচিব হিসেবে দায়িত্বভার নেয়ার পর থেকেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি, এমপিওভুক্তির আদেশ শিগগিরই জারি হবে। এরইমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এর সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। উনি বর্তমানে মালয়েশিয়ায় আছেন, তাই এখনও সই হয়নি। সম্ভবত আগামীকাল বা আগামী সপ্তাহে এটি সই হয়ে যাবে।’
ড. কবিরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের পর নতুন করে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়নি। বেসরকারি মাদ্রাসাগুলোর জন্য জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা এরইইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে বিশেষভাবে ২০০৬ সালের আগে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিন্তু বৈষম্যমূলকভাবে এমপিও না পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে এমপিওভুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: দাবি পূরণে সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন শিক্ষকরা
এ বছরের শুরুতে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়া হয়। গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করা হয়। এরপর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল।
নীতিমালা অনুযায়ী, মাদ্রাসাগুলোর ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ি প্রধান ১০ম গ্রেডে, সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে, কারি ও নুরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ১৬তম গ্রেডে এবং প্রতিটি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।