সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জাকার্তা গ্লোব এক প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, প্রতি বছর এ অপেক্ষার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এতে আরও বলা হয়, অপেক্ষমাণ তালিকা ৫৪ লাখ হলেও কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থার তথ্য অনুসারে কমপক্ষে ১ কোটি ৭০ লাখ মুসলমান শারীরিক ও আর্থিকভাবে হজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
দেশটির হজ তহবিল পরিচালনা সংস্থা (বিপিএইচকে) প্রধান ফজলুল ইমানশাহ বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই সমস্যাটির সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ পালন করতে ইন্দোনেশীয় মুসলমানদের সহায়তা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও বাড়লো
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী নাসরুদ্দিন উমর এ সমস্যার জন্য সৌদি আরবের পবিত্র শহরগুলোর প্রধান প্রধান স্থানের সীমিত ধারণক্ষমতাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি মিনা, আরফাত, কাবা এবং বিমানবন্দরগুলোতে পর্যাপ্ত ধারণ ক্ষমতা থাকতো, তাহলে আমাদের আর এ বিষয়ে আলোচনার দরকার হত না।’
ইন্দোনেশিয়া সরকার এর আগে সৌদি আরবের কাছে হজ কোটা বাড়ানোর জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেছে। সে অনুযায়ী গত বছর দেশটি সফলভাবে আরও ২০ হাজার কোটা নিশ্চিত করে মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজারে উন্নীত করে।
দেশটিতে হজের জন্য এত লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় বিধায় অনেকে ফিলিপাইন ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে হজ পালনের বিকল্প পথ খুঁজে থাকেন।
]]>