রোববার (২৯ জুন) উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের ২৪৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও চাল ছিল দুর্গন্ধযুক্ত, নিম্নমানের ও অনেকটা পচা বলে দাবি করেছেন উপকারভোগীরা।
চাল নিতে এসে অনেকেই তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চালের মান যাচাই করতে চাইলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
চাল নিতে আসা একাধিক নারী উপকারভোগী বলেন, চাল থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। এতে রান্না করা সম্ভব নয়। আমরা এমন চাল চাইনি।
চাল বিতরণে অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করায় ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফুল ইসলাম এবং স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কে এম মামুনুর রহমান।
মারুফুল ইসলাম বলেন, 'আমরা চালের মান দেখতে চাইলে খাদ্য কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং অপমানজনক ভাষায় কথা বলেন। এরপর বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।'
আরও পড়ুন: পচা চাল নিয়ে বিপাকে নওগাঁর খাদ্য কর্মকতারা
বিতর্কিত চাল বিতরণ নিয়ে কথা বলতে চাইলে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কে এম মামুনুর রহমান কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন বলেন, 'আমরা বিষয়টি শুনেছি। বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত চালগুলো আমদানি করা। তা পচা হওয়ার কথা নয়। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'