ইতালি বিশ্বকাপে উঠতে না পারলে দেশ ছেড়ে পালাবেন গাত্তুসো

১ সপ্তাহে আগে
২০০৬ বিশ্বকাপে চতুর্থবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর মাত্র দুবার মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ইতালি। ২০১০ ও ২০১৪ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার পর গত দুই বিশ্বকাপে আজ্জুরিরা বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। ২০২১ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও অবিশ্বাস্যভাবে প্লে-অফে মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপের টিকিট মিস করেছিল ইতালি। আগামী বিশ্বকাপে দলসংখ্যা ৩২ থেকে বেড়ে ৪৮–এ দাঁড়ালেও খেলা নিয়ে শঙ্কায় আছে ইতালি।

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোয় আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে টানা পাঁচ ম্যাচে জিতেও স্বস্তিতে নেই ইতালি। সবশেষ ম্যাচে ইসরাইলকে ৩-০ গোলে হারানো সত্বেও ইতালিকে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে প্লে-অফ খেলতে হতে পারে। কারণ নিজেদের গ্রুপে তারা দ্বিতীয় স্থানে আছে। ছয় ম্যাচ জিতে এই গ্রুপের শীর্ষে নরওয়ে।


এমন অবস্থায় ইতালির কোচ জেন্নারো গাত্তুসো মজার ছলে বলেছেন, তার দল যদি টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়, তবে তিনি 'দেশ ছেড়ে পালাবেন' এবং দূরে কোথায় গিয়ে বসবাস করবেন।


ইসরাইলের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ইতালি জয় পেয়েছে মাতেও রেতেগুইয়ের জোড়া গোল ও জিয়ানলুকা মানচিনির গোলে ভর করে। এই জয়ে ইতালির কোচ হিসেবে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রেখেছেন ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য গাত্তুসো। তবে তাতেও সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়নি, কারণ ইতালি এখনও গ্রুপে নরওয়ের পিছনে দ্বিতীয় স্থানে।


আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প


জুনে বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে নরওয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলের পরাজয় এবং দুর্বল গোল ব্যবধানের কারণে নরওয়েই সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের পথে, ফলে আজ্জুরিদের সম্ভবত প্লে-অফে লড়াই করেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে হবে।


 

দারুণ ফর্মে আছেন রেতেগুই। ছবি: সংগৃহীত


গাত্তুসো হাস্যরসের ছলে বলেন, 'যদি আমি আমার লক্ষ্য (বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন) পূরণ করতে পারি, তবে কৃতিত্ব আমার। আর যদি ব্যর্থ হই, তাহলে ইতালি থেকে অনেক দূরে গিয়ে থাকব। আমি এখনই একটু দূরে আছি, তখন আরও দূরে চলে যাব।'


আরও পড়ুন: জিদানের চোখে ইয়ামালই সেরা, তবে সঙ্গে আছে আরও দুজন


তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে, দলে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, তবে খেলোয়াড়দের নিবেদন ও কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন। গাত্তুসো জোর দিয়ে বলেন, 'দেখা যাক, আমি কিছু পরিবর্তন অবশ্যই করব এটা বোঝার জন্য যে আমরা কোন পর্যায়ে আছি। কারণ সবাই অনুশীলনে দারুণ করছে, তাই যারা এখনো সুযোগ পায়নি, তাদেরও কিছুটা সুযোগ দিতে চাই। অনেক অদলবদল থাকবে, আর একই নীতিই সবসময় প্রযোজ্য: যারা ভালো খেলছে, তাদের জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা।'


২০০৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য গাত্তুসো এবার তার খেলোয়াড়দের আরও উজ্জীবিত করতে চান, যখন তারা নভেম্বরে মলদোভা ও নরওয়ের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে। ইতালির লক্ষ্য থাকবে বাকি ম্যাচগুলো জিতে সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার আশা জীবিত রাখা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন