নিহত মিজান উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁচিকাটা এলাকার লাভলু কাজীর ছেলে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় মিজান। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। শুক্রবার সকালে মানিকপুরে একটি ইটের ভাটার পাশের ভুট্টা ক্ষেতে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: বস্তার মুখ খুলতেই দেখা মিলল গলায় রশি পেঁচানো মরদেহ
নিহতের মা মলিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পরে যাত্রী নিয়া কাঁঠালবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। রাত ৮টার পরই মিজানের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে শুনি ওর লাশ পাওয়া গেছে। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। এ ব্যাপারে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।’
আরও পড়ুন: সড়কের পাশে পড়েছিল ইমরানের মরদেহ, হত্যা নাকি দুর্ঘটনা?
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে আরেক ভ্যানচালক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়।
]]>