ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ: সাদপন্থি ২৯ জনের নামে হত্যা মামলা

২ সপ্তাহ আগে
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় সাদপন্থি ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় আলমি শুরার সদস্য এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পশ্চিম থানায় এ মামলাটি করেন। 

 

মামলার বাদী এসএম আলম হোসেন কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার গাইটাল গ্রামের মৃত এস এম মোক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার আলমি শুরার সাথি।

 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান সংবাদমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নিয়ে যা জানাল আলমি শুরা

 

মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকশ আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমা। এ উপলক্ষে মাঠ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছিলেন তাবলিগের আলমি শুরার সদস্যরা। এর মধ্যেই আসামিরা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে অনুমতি ছাড়া ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে ৫ দিনের জোড় করতে চান। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উসকানি ছড়াচ্ছিলেন।


আরও পড়ুন: ইজতেমার মাঠে হামলা নিয়ে যা বললেন হেফাজতের আমির

 

মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সাদ অনুসারীদের ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠেই জোড় পালনের ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে হাজার হাজার সাদ অনুসারী মুসল্লি গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে ইজতেমা মাঠের চারপাশে জড়ো হন। ওয়াসিফুল ইসলামের হুকুমে সেদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাজার হাজার সাদ অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইজতেমা মাঠে ঘুমন্ত সাধারণ মুসল্লিদের (জুবায়েরপন্থি) ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে ৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।

 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন