ইকুয়েডরে গণভোটে ‘না’ এগিয়ে, বড় ধাক্কা খেলেন প্রেসিডেন্ট নোবায়া

৪ ঘন্টা আগে
ইকুয়েডরে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি ফিরিয়ে আনার সরকারের প্রস্তাবে গণভোটে ‘না’ ভোট বেশি দিয়েছেন দেশটির জনগণ। এক–তৃতীয়াংশের বেশি ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ ভোটার প্রস্তাবটির বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

ইকুয়েডরের মাটিতে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপনে জনগণের সম্মতি আছে কি না, সেটি যাচাই করতে এ গণভোটের আয়োজন করা হয়।

 

স্থানীয় সময় রোববার (১৬ নভেম্বর) ইকুয়েডরে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা এখনো শেষ হয়নি। তবে এক–তৃতীয়াংশের বেশি গণনা শেষে দেখা গেছে, বিদেশি সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপনের প্রশ্নে ৬০ শতাংশ ভোটার ‘না’ ভোট দিয়েছেন।

 

গণভোটে ভোটারদের সামনে আরেকটি প্রশ্ন ছিল বিদ্যমান সংবিধানের পুনর্লিখন। এই প্রস্তাবেও ৮৮ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ৬১ শতাংশের বেশি ভোটে ‘না’ পড়েছে।

 

গণভোটে পরাজয় ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসবে দেখা হচ্ছে। আগে থেকেই তিনি বলে আসছেন, সংগঠিত অপরাধ দমনে বিদেশি সহযোগিতা, দেশের ভেতরে যৌথ বা বিদেশি সামরিক ঘাঁটির ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

আরও পড়ুন: ইকুয়েডরের কারাগারে দাঙ্গা, ৩১ জনের মৃত্যু

 

জনগণের এই রায়ে পরাজয় মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ই্কুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া। এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা ইকুয়েডরের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করি। আমাদের প্রতিশ্রুতি বদলায়নি, বরং আরও দৃঢ় হয়েছে। আপনাদের প্রাপ্য দেশ গড়তে আমরা আমাদের হাতে থাকা উপায়গুলো ব্যবহার করে নিরলসভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।’

 

গণভোটে ‘না’ জয়ী হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের মান্টা বিমানঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে না। একসময় এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। ২০০৮ সালে ইকুয়েডর নিজেদের ভূখণ্ডে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি নিষিদ্ধ করেছিল।

 

সূত্র: আল জাজিরা
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন