এদিন ইউন সুক ইওলের অভিশংসনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান দেশটির প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক সু। দায়িত্ব গ্রহণের পর গণমাধ্যমে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থায় কোনো ধরনের শূন্যতা থাকবে না।
এসময় তিনি আরও বলেন, তার মন্ত্রিসভা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অন্যান্য মিত্র দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে আরও কঠোর পরিশ্রম করবে। এছাড়া দেশটির মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে পিয়ংইয়ংয়ের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সিওলের সেনাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট কে এই হান ডাক-সু?
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়া সখ্যতা বাড়িয়ে অপতৎতপরতা চালাচ্ছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন কয়েকজন সামরিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া গণতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার জর্ডানে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এক বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সিউল শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সংবিধানের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। একইসঙ্গে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়া / অভিশংসিত হওয়ার পর ‘সাময়িক’ রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা ইউনের
অন্যদিকে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে অভিশংসিত হওয়ার পর ‘সাময়িকভাবে’ রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।
অভিশংসিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে ইউন সুক ইওল বলেন, আমি সাময়িকভাবে আমার যাত্রা (রাজনৈতিক পথচলা) বন্ধ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি আপাতত থেমে গেলেও গত আড়াই বছর ধরে যে ভবিষ্যতের যাত্রা করেছি তা কখনই থামবে না। আমি কখনই হাল ছাড়ব না। আমি আপনাদের সমালোচনা, প্রশংসা এবং সমর্থন নেব এবং দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আমার সর্বোচ্চটা করব।
গত ৩ ডিসেম্বর দেশে আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন ইউন। জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলেন তিনি। এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে পিছু হটেন ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির এ নেতা।