ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্টের ভাষণ, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া চীনের

২ সপ্তাহ আগে
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্টের ভাষণ দেয়া নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বেইজিং। এদিকে চীনের অন্তত ১০টি যুদ্ধবিমান নিজেদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের দাবি করেছে তাইওয়ান।

তাইওয়ানকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। নিয়মিতভাবেই দুই ভূখণ্ডের মধ্যবর্তী সীমা অতিক্রম করে আসছে চীনা সামরিক বাহিনী। রোববার (৯ নভেম্বর) আবারও নিজেদের আকাশসীমায় চীনের সামরিক তৎপরতার অভিযোগ করেছে তাইওয়ান।

 

দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চীনের অন্তত ১০টি যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে। একইসঙ্গে প্রণালী ঘিরে চক্কর কাটে চীনা নৌবাহিনীর অন্তত ১০টি নৌযান। চীনা যুদ্ধবিমানের অন্তত ৪টি মধ্যরেখা অতিক্রম করে বলেও দাবি করেছে তাইপে।

 

চীনা বিমান ও যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের তাড়িয়ে দিতে নিজেদের বিমান দিয়ে টহল দেয় তাইপে। মোতায়েন করা হয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এর আগে শনিবারও তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে চীনের ১৮টি যুদ্ধবিমান ও ৭টি নৌযান।

 

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ফাং-ওং, সরিয়ে নেয়া হলো ১ লাখ বাসিন্দাকে

 

চীনের এই সামরিক তৎপরতার মধ্যেই গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভাষণ দেন তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিয়াও বিখিম। শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাইওয়ান শুধু টিকে থাকতে নয়, বরং গণতন্ত্রকে বিকশিত করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়না (আইপিএসি) সম্মেলনে ৫০টিরও বেশি দেশের আইনপ্রণেতাদের সামনে দেয়া এই বক্তব্য ছিল ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তাইওয়ানের কোনো উচ্চপর্যায়ের নেতার প্রথম ভাষণ। 

 

ভাষণে স্বায়ত্ত্বশাসিত দ্বীপ দেশটির সাথে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার এবং চীনের ‘হুমকি’র মুখে এর গণতন্ত্রকে জোরদারে সহায়তা করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

আরও পড়ুন: পাক-আফগান উত্তেজনা / আগামী সপ্তাহে ইসলামাবাদ যাবেন তুরস্কের শীর্ষ কর্মকর্তারা

 

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেয়া বিখিমের ভাষণ নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। তার এই সফরকে এক চীন নীতির লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে দেশটি। এটিকে বেইজিংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল আখ্যা দিয়ে চীন সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন