ইউক্রেনের দিনিপ্রোপেট্রোভস্কে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫

১ সপ্তাহে আগে
ইউক্রেনের শিল্পাঞ্চল দিনিপ্রোপেট্রোভস্কে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং আরও ২৩ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এই অঞ্চলে পা রাখার চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। তারই অংশ হিসেবে হামলা জোরদার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) আঞ্চলিক গভর্নর সের্গেই লিসাক জানান, আক্রমণটি দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের প্রধান শহর দিনিপ্রোর বাইরে সামার শহরকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।

 

চলতি সপ্তাহের শুরুতে রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে দিনিপ্রো ও সামার উভয় স্থানেই আক্রমণ শুরু করে। যার ফলে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়। ইউক্রেনীয় সামরিক কর্মকর্তারা জানান, সামারের কাছে পূর্ববর্তী রুশ হামলাগুলো ইউক্রেনীয় সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে আঘাত করেছিল।

 

এদিকে উত্তর খারকিভ অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে রুশ হামলায় অন্তত একজন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলার পর কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ ছাড়াই চলারর জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: আইএইএর প্রতিবেদন ইরানের ওপর আগ্রাসন উসকে দেয়: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া শুক্রবার রাতভর ৩৬৩টি দূরপাল্লার ড্রোন এবং আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ইউক্রেনের খেরসনে রুশ বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। এছাড়া দোনেৎস্কে দুটি গ্রাম দখল করে রাশিয়া। এ অঞ্চল ঘিরেই ডিনিপ্রোপেট্রভস্কে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে মস্কো।

 

হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে এদিন আবারও বন্দিবিনিময় করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। মস্কো ও কিয়েভ জানায়, উভয় পক্ষের সৈন্যরা নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন। ইউক্রেন জানায়, ফিরিয়ে আনা বেশিরভাগ সৈন্য ২০২২ সাল থেকে বন্দি ছিলেন। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মুক্ত সেনারা বর্তমানে বেলারুশে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা নিচ্ছেন।

 

ইউক্রেন জানায়, সর্বশেষ বিনিময়ে আহত ও অসুস্থ সৈন্যরাও ছিলেন, যাদের বয়স ২৪ থেকে ৬২ বছরের মধ্যে। আরও বিনিময়ের আশ্বাস দিয়েছে তারা। তবে এই অগ্রগতির মধ্যেও কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। দখলকৃত ভূখণ্ড ছাড়তে রাজি নয় রাশিয়া।

 

আরও পড়ুন: পূর্ব ইউক্রেনে আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

 

তবে সুমি অঞ্চলে রুশ আগ্রাসন প্রতিহত করার দাবি করেছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান। এতে প্রায় ৫০ হাজার রুশ সেনা মোতায়েন ঠেকানো গেছে বলে জানান তিনি। ওই এলাকায় প্রতিরক্ষা জোরদারে নতুন ইউনিটও গঠন করেছে কিয়েভ।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন