স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ড্রোন হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এ ঘটনায় আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকজন আহত হয়। দমকলকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।
এর আগে দিনিপ্রো অঞ্চলে একরাতেই ১১৪টি ড্রোন ও একাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করে মস্কো। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। ১৫৩টি এলাকায় হামলার কথা জানায় রাশিয়া। এরমধ্যে বেশিরভাগই ছিল জ্বালানি এবং শক্তি সরবরাহ সুবিধা। একইদিন, মস্কোর ১০১টি ড্রোন প্রতিহতের দাবি করে কিয়েভ।
এদিকে, যুদ্ধ চলাকালীন বিষাক্ত পদার্থ নির্গমনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রাশিয়ার কাছ থেকে ৪৪০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবির পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধজনিত অতিরিক্ত নিঃসরণের ভিত্তিতে কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিপূরণ দাবি করছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে ১০০ যুদ্ধবিমান দেবে ফ্রান্স!
এরমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর জন্য তুরস্কে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে ‘ন্যায়সঙ্গত শান্তি’ অর্জনের পথ খুঁজতে চান বলে জানান তিনি। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এ বৈঠকে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ নিশ্চিত করেছেন, বুধবারের শান্তি আলোচনায় রাশিয়া উপস্থিত থাকবে না। মস্কোর অভিযোগ, ইউক্রেন এখনো আগের শান্তি আলোচনায় উত্থাপিত প্রস্তাবের জবাব দেয়নি।
পেসকভ জানান, ইস্তাম্বুলে কী আলোচনা হবে, রাশিয়া বাইরে থেকেই তা পর্যবেক্ষণ করবে। এসময় ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দেয়ার ঘোষণায় ফ্রান্সকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেন, ভবিষ্যতে প্যারিস তাদের এমন সিদ্ধান্তের জন্য অনুশোচনা করবে।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·