ইউক্রেনকে ‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, পুতিনের হুঁশিয়ারি

১ দিন আগে
ইউক্রেনকে ‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ নিয়ে ভাবছে মার্কিন প্রশাসন। তবে এই মিসাইল কিয়েভে পৌঁছালে যুদ্ধ ইউরোপের ভেতরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে ক্রেমলিন। এমনকি ন্যাটো মিত্রদের ওপরও রুশ হামলার ঝুঁকি তৈরি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

টমাহক ক্রুজ মিসাইল হলো যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আধুনিক অস্ত্র। পাল্লা প্রায় ২,৫০০ কিলোমিটার, যা ইউক্রেন থেকে ছোড়া হলে সহজেই মস্কোসহ রাশিয়ার অন্যান্য শহরে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে এটি রাশিয়ার লজিস্টিক ও বিমানঘাঁটির ওপর সরাসরি হুমকি সৃষ্টি করবে।

 

এ প্রস্তাব ঘিরে ওয়াশিংটনে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। রিপাবলিকানদের একটি বিরোধী অংশের মতে, সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ ন্যাটোকে যুদ্ধে জড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে ইউক্রেনপন্থি কংগ্রেসম্যানরা বলছেন, দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র না পেলে কিয়েভ রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে পারবে না।

 

এ বিষয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই নেবেন। তবে ইউক্রেন চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি না দিয়ে প্রথমে ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোকে টমাহক বিক্রি করুক, যাতে সেখান থেকে মিসাইল ইউক্রেনে পৌঁছায়। 

 

আরও পড়ুন: পুতিনের উচিত ছিল এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করা: ট্রাম্প

 

তবে এই পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, টমাহক পেলেও যুদ্ধের ভাগ্য বদলাবে না, বরং কিয়েভ আরও বিপদে পড়বে। 

 

পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি পশ্চিমা মিসাইল দিয়ে রাশিয়ায় হামলা হয়, ইউরোপীয় সামরিক ঘাঁটিও রাশিয়ার পাল্টা আঘাতের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনকে টমাহক দেয়া মানে ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করা। এতে যুদ্ধ সীমান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, ন্যাটো মিত্রদের ওপরও রুশ হামলার ঝুঁকি তৈরি হবে এবং ইউরোপের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ আরও জটিল হয়ে উঠবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন