ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনা কি ভ্যাটিকানে হবে?

তিন বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে পাওয়া যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত। যুদ্ধের অবসানে ইউক্রেন ও রাশিয়া সরাসরি শান্তি আলোচনা হতে পারে ইতালির ভ্যাটিকানে। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো শান্তি উদ্যোগ সফল হয়নি। কিয়েভের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।

 

গত সোমবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন শিগগিরই যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরু করবে। তিনি আরও বলেন, ভ্যাটিকানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি আলোচনা হলে ‘দারুন হবে’। 

 

বুধবার (২১ মে) ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ভ্যাটিকানে শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে এরই মধ্যে রাজি হয়েছেন নতুন পোপ চতুর্দশ লিও।

 

আরও পড়ুন: রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত

 

মঙ্গলবার (২০ মে) পোপের সঙ্গে এক আলোচনায় এই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানায় ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কিয়েভকে এগিয়ে রাখতে মস্কোর ওপর নতুন করে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

 

ইউক্রেন পুনর্গঠনে তহবিল দেয়ার পরিকল্পনা করছে জি-সেভেন বলে জানিয়েছে কানাডা। আসন্ন জি-সেভেন বৈঠক সামনে রেখে কানাডার অথর্মন্ত্রী জানিয়েছেন, এবারের বৈঠকে ইউক্রেন পুনর্গঠনে তহবিল বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা হবে। যা ৫০০ বিলিয়ন ছাড়াতে পারে বলে জানান তারা।

 

এদিকে পুতিন-প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির খসড়া নিয়ে আলোচনায় কিয়েভকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। গত সোমবার (১৯ মে) ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর যুদ্ধবিরতির খসড়া নিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যেখানে থাকবে শান্তি প্রক্রিয়ার মূলনীতি ও সম্ভাব্য সময়সীমার উল্লেখ।

 

আরও পড়ুন: রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি ইরানের পার্লামেন্টে অনুমোদন

 

তবে আলোচনায় অংশ নেয়ার বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি কিয়েভ। তবে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অংশগ্রহণের দাবি জানান তিনি। মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আশা করেন, ইউক্রেন নিজেদের রক্ষা করতেই প্রস্তাবিত স্মারকলিপির সম্ভাব্য আলোচনার ক্ষেত্রে একটি গঠনমূলক অবস্থান গ্রহণ করবে।

 

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নতুন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মস্কোর ‘শ্যাডো ফ্লিট’-এর কার্যক্রমকে নিশানা করা হবে। জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্তোরিয়াসের অভিযোগ, পুতিন এখনও শুধু নিজের শর্তে যুদ্ধবিরতি চান, কোনো বাস্তব ছাড়ে তার আগ্রহ নেই।

 

]]>