তবে পুতিন বলেননি যে, তিনি ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে শান্তি আলোচনায় রাজি হবেন কিনা। ট্রাম্প পুতিনের প্রতিক্রিয়ার জন্য সোমবারের সময়সীমা দিয়েছিলেন।
চীনে একটি শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়, পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের তার সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, তার পক্ষে সাফাই গান। আবারও যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদের দোষারোপ করেন।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার পুতিনের সাথে সাক্ষাতের আগে মোদি-জেলেনস্কি ফোনালাপ
আলাস্কা বৈঠকের পর, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, পুতিন সম্ভাব্য ভবিষ্যতের শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে সম্মত হয়েছেন, যদিও মস্কো এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
পুতিন চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি শি জিনপিং এবং নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করেছিলেন।
তিনি চীনা ও ভারতীয় নেতাদের তাদের সমর্থন এবং ইউক্রেনীয় সংকট সমাধানে সহায়তা করার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
চীন ও ভারত রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের বৃহত্তম ক্রেতা, যা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছে যে তারা যুদ্ধের প্রচেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ার অর্থনীতিকে সমর্থন করছে।
তার বক্তৃতায়, পুতিন আরও বলেন, আলাস্কায় ট্রাম্পের সাথে তার বৈঠকে ‘বোঝাপড়া’ হয়েছে। আমি আশা করি, সেভাবে অগ্রসর হলে ইউক্রেনে শান্তির জন্য একটি পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।
একই সাথে, তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ইউক্রেন সংকট এজন্য তৈরি হয়নি যে, রাশিয়া সেখানে অভিযান শুরু করেছে। বরং এটি ইউক্রেনে একটি অভ্যুত্থানের ফলাফল, যা পশ্চিমাদের সমর্থিত এবং উস্কানিমূলক ছিল।
তিনি এই যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে ন্যাটোতে টেনে আনার জন্য পশ্চিমাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টাকেও দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের সাবেক সংসদীয় স্পিকারকে গুলি করে হত্যা
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের ধারণার ধারাবাহিকভাবে বিরোধিতা করে আসছেন পুতিন।
]]>