ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ আগ্রাসনের বরাবরই সমালোচনা করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবার নিজ অবস্থানের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জুলাই মাসে হওয়া এক চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো মিত্রদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে, আর তারা সেগুলো পরে কিয়েভে সরবরাহ করছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা যা পাঠিয়েছি তার সব কিছুর মূল্য পাচ্ছি। বাইডেনের মতো নয়। তিনি ইউক্রেনকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন, যা ছিল বিস্ময়কর।’
আরও পড়ুন: মার্কিন এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধিতে বিপাকে ভারতীয়রা
ট্রাম্পের মতে, ইউরোপীয় ন্যাটো দেশগুলোকে প্রধান বোঝা বহন করতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই যুদ্ধের অর্থায়ন করছে ন্যাটো। আমরা আসলে ওই যুদ্ধ থেকে অর্থ উপার্জন করছি, কারণ তারা আমাদের সরঞ্জাম কিনছে।’
প্রতিবেদন বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন ছয় হাজার সাত'শ কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে কিয়েভকে। এর বড় অংশ গিয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের সময়ে।
আরও পড়ুন: এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে যা বললো রাশিয়া
এ কারণে মার্কিন অস্ত্রের মজুতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম দ্যা আটলান্টিক। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাটোর মিত্রদেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রেখেছে পেন্টাগন। নীতির এই পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হিসেবে, ডেনমার্কের কাছে কয়েক শত কোটি ডলারের প্যাট্রিয়ট এয়ার-ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রি বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা যত দিন গড়াচ্ছে ততই তীব্র আকার ধারণ করছে। একরাতেই, রাশিয়া ৬ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, দিনিপ্রো শহরে একটি উঁচু ভবনে হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসিক ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনা।
পাল্টা জবাবে, রাশিয়ার সামারা ও সারাতভ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং সারাতভ রিফাইনারিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
]]>