ইংল্যান্ডে হওয়া ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি পেলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার

৩ সপ্তাহ আগে
গত মাসে পাকিস্তান শাহিনসের হয়ে ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মাঠ থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন হায়দার আলী। তবে বেশিক্ষণ তাকে আটক থাকতে হয়নি। আগাম জামিন নিয়ে বের হয়ে আসেন। যদিও এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রেখেছিল যুক্তরাজ্যের গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ। নিষেধ ছিল যুক্তরাজ্যের বাইরে যাওয়াতেও।

প্রায় এক মাসের তদন্ত শেষে ২৪ বছর বয়সী এ ব্যাটারের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ তুলে নিয়েছে পুলিশ। ফলে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেন তিনি। বাধা থাকল না তার দেশে ফেরাতেও। যদিও গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ বলছে, পরবর্তীতে যদি তারা নতুন কোনো তথ্য পায় তাহলে ফের মামলাটি নিয়ে কাজ শুরু করবে।

 

ক্রিকইনফোকে ম্যানচেস্টার পুলিশ বলেছে , ‘এমন ধরনের (ধর্ষণের মতো গুরুতর) অভিযোগ আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিই এবং প্রত্যেকটি ঘটনা যাচাই-বাছাই করি। বিদ্যমান সকল প্রমাণ পর্যালোচনা করে বর্তমানে আমরা মামলাটি বন্ধ করছি। তবে যদি আরও কোনো তথ্য সামনে আসে তাহলে আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করব এবং সঠিকভাবে মামলাটি পরিচালনা করব।’

 

গত মাসে পাকিস্তান শাহিনসের (যেটা ‘এ’ দল হিসেবে বিবেচিত) হয়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন হায়দার। সেখানে বেকেনহ্যাম ও হোভ একাদশের বিপক্ষে খেলা ছিল তাদের। এর মধ্যে গত ৩ আগস্ট বেকেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচের সময় হঠাৎ মাঠে ঢুকে পুলিশ হায়দারকে গ্রেফতার করে। সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, গত ২৩ জুলাই ম্যানচেস্টারের একটা বাড়িতে হায়দার অপরাধটি সংগঠিত করেন।

 

আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সর্বনিম্ন টিকিটের মূল্য ১৫ হাজার টাকা

 

গ্রেফতারের পর অবশ্য জামিন পেতেও বেশি সময় লাগেনি তার। যদিও তখনো তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান ছিল এবং যুক্তরাজ্যের বাইরে যাওয়াও নিষেধ ছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও সে সময় যুক্তরাজ্যের আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে হায়দারকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছিল। তদন্ত শেষে নিজেদের আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার বার্তাও দিয়েছিল। তবে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় এবার তার বিরুদ্ধে পিসিবি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে  কি না, সেটাই দেখার বিষয়।

 

২০২০ পিএসএল মৌসুমে পেশোয়ার জালমির হয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন হায়দার। পাকিস্তানের জার্সিতে ২ ওয়ানডের পাশাপাশি খেলেছেন ৩৫ টি-টোয়েন্টি। তবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে না পারায় জাতীয় দলে জায়গা হারান তিনি। ফর্মে ফেরার সুযোগ দিতে তাকে শাহিনস শিবিরে পাঠানো হয়েছিল ইংল্যান্ডে।

 

আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে প্রথম শীর্ষ অলরাউন্ডার রাজা

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন