সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্টার্কের এই ডেলিভারি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হচ্ছে। আর হবেই বা না কেন, ১৭৬ কিলোমিটার গতির বল কি আর সচরাচর দেখা যায় নাকি। মাইলের হিসাবে তার এই ডেলিভারিটি ছিল ঘণ্টায় ১০৯।
২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতার। দুই দশকের বেশি সময় ধরে অক্ষত থাকা সেই রেকর্ডটা কী সত্যিই ভেঙে দিলেন মিচেল স্টার্ক?
আরও পড়ুন: এখন আগের চেয়েও বেশি ফিট: কোহলি
তবে না, মিচেল স্টার্ক শোয়েব আখতারের রেকর্ডটা ভাঙতে পারেননি। টিভি সম্প্রচারে স্টার্কের বলের যে গতি দেখানো হয়েছে, তা ছিল গ্রাফিকসের ভুল। অন্যান্য সম্প্রচারকের তথ্য অনুযায়ী বলটির প্রকৃত গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪০.৮ কিলোমিটার।
স্টার্ক সাধারণত এই গতিতেই বোলিং করেন। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজও তাদের ধারাবিবরণীতে লিখেছে, সেই ডেলিভারিটির গতি ছিল ১৪০.৮ কিলোমিটার।
আর ডেলিভারিটির গতি যদি ১৭৬.৫ কিলোমিটারই হতো, তাহলে সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা রোহিত চরম অস্বস্তিতেই পড়তেন। তবে রোহিত শর্মা সেই ডেলিভারিটি খুব সহজেই অনসাইডে খেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেমিতে খেলার আশা বেঁচে আছে বাংলাদেশের, বাকি দলের সমীকরণ কী?
সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ বলছে, বাস্তবে ১৭৬ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করা সম্ভব নয়। তাদের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, মানবদেহের বায়োমেকানিকস নিয়ে গবেষণা বলছে, সর্বোচ্চ নিক্ষেপ গতি ১৭৪-১৭৭ কিলোমিটার/ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে। তা-ও আবার বেসবলে। ক্রিকেটের বোলিং অ্যাকশন মূলত যেমন হয়ে থাকে, তাতে সেই গতিতে বল করা প্রায় অসম্ভব।
নিউজ ১৮ আরও লিখেছে, ঘণ্টায় ১৭৬.৫ কিলোমিটার দেখানো একটি প্রযুক্তিগত কিংবা মানবীয় কোনো ভুল। এটা হতে পারে রাডার মিসঅ্যালাইনমেন্ট, সফটওয়্যার বা সেন্সর ত্রুটি, কিংবা টিভি সম্প্রচারের গ্রাফিকসে কোনো ত্রুটি।
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৬








Bengali (BD) ·
English (US) ·