সোমবার (২৬ মে) খুলনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় এলাকা এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে টেকসইভাবে রক্ষার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘ঘন ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, নদীভাঙন, বন উজাড় ও নিরাপদ পানির সংকট দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা ও প্রকৃতিকে দিন দিন আরও অনিরাপদ করে তুলছে। অথচ প্রতিবছরের বাজেটে এসব বিষয়ে কার্যকর বরাদ্দ ও পরিকল্পনার অভাব লক্ষ্য করা যায়।’
আরও পড়ুন: খুলনায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার: উপকূলজুড়ে জলবায়ু দুর্যোগ প্রতিরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারের জন্য বিশেষ বাজেট বরাদ্দ।
- সুন্দরবন সংরক্ষণ: বন উজাড় রোধ, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ, বনবসতির নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে বন ব্যবস্থাপনায় সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
- লবণাক্ততা মোকাবিলা ও নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণ: নিরাপদ পানি সরবরাহ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং বিকল্প পানির উৎস ব্যবস্থাপনার জন্য বাজেট বরাদ্দ।
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় সাইক্লোন শেল্টার ও দুর্যোগ-প্রস্তুতি কর্মসূচিতে বিশেষ বরাদ্দ।
- বিকল্প জীবিকা ও তরুণদের উন্নয়ন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য বিকল্প জীবিকা ও যুব প্রশিক্ষণে বাজেট বরাদ্দ।
- মৌলিক সেবায় উন্নয়ন: উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম কার্যকর করতে হলে স্থানীয় সরকার, নারী সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠীগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে সরাসরি বরাদ্দ রাখা জরুরি।
সংগঠনটি মনে করে, সরকারের নীতিগত অঙ্গীকার বাজেট বরাদ্দে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। পরিকল্পনা কমিশন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া উপকূল রক্ষা সম্ভব নয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, ইমতিয়াজ উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম নূর, আহমেদ মূসা রঞ্জুসহ অন্য নেতারা।
]]>