اَللّٰهُمَّ مَا قَصُرَ عَنْهُ رَأْيِيْ وَضَعُفَ عَنْهُ عَمَلِيْ وَلَمْ تَبْلُغْهُ مُنْيَتِيْ وَ مَسْأَلَتِيْ مِنْ خَيْرٍ وَّعَدْتَهٗۤ أَحَدًا مِّنْ خَلْقِكَ، أَوْ خَيْرٍ أَنْتَ مُعْطِيْهِ أَحَدًا مِّنْ عِبَادِكَ فَإِنِّيْۤ أَرْغَبُ إِلَيْكَ فِيْهِ، وَأَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা মা কসুরা আনহু রাইয়ি ওয়া দোউফু আফা আনহু আমালী ওয়া লাম তাবলুগহু মুন্নিয়াতি ওয়া মাসআলাতী মিন খাইরিন ওয়াদাত্তাহু আহাদাম মিন খালকিক, আও খাইরিন আনতা মুত্বিহি আহাদাম মিন ইবাদিক, ফা ইন্নী আরগাবু ইলাইকা ফিহি, ওয়া আসআলুকা বিরাহমাতিকা রাব্বাল আলামিন।
আরও পড়ুন: ঘুষ দিয়ে নেয়া চাকরির বেতন কি হালাল হবে?
অর্থ: হে আল্লাহ! এমনসব কল্যাণ, যা উপলব্ধি করতে আমার চিন্তা ব্যর্থ, যা অর্জনে আমার কর্ম অপারগ আর যা আমার আকাঙ্ক্ষা ও প্রার্থনার ঊর্ধ্বে। অথচ আপনি কোনো মাখলুককে তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অথবা আপনার কোনো বান্দাকে তা দান করবেন, আমি ঐ বিষয়ে আপনার কাছে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছি এবং আপনার রহমতের উসীলায় তা আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, হে সমস্ত জগতের প্রতিপালক!
এ দোয়া আমাদের শিখানো হয়েছে যে, আমরা যেন এমন সব কল্যাণের জন্যও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যা হয়তো আমাদের কল্পনার বাইরে। কারণ আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য অফুরন্ত রহমত বরাদ্দ রেখেছেন। তাই কোনো কিছু আমাদের জ্ঞানের সীমার বাইরে থাকলেও, যদি তা কোনো বান্দা লাভ করতে পারে, তাহলে আমরাও যেন সেই কল্যাণের অংশীদার হওয়ার প্রার্থনা করি।
এ দোয়া আমাদের অন্তরের গভীর থেকে আল্লাহর রহমত কামনা করতে শিখায়। এটি আমাদের শিক্ষা দেয়, আল্লাহর অনুগ্রহ সীমাহীন, তার কাছে চাইতে কোনো সংকোচ নেই। আমরা যেন সর্বদা আল্লাহর দরবারে কল্যাণ ও রহমতের জন্য নিবেদন করি ও তার অশেষ দয়ার ওপর ভরসা রাখি।
]]>