হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বদা জিকিরে থাকতেন। আমাদেরও উচিত তার উম্মত হিসেবে সর্বদা মহান আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকা। মহান আল্লাহ বলেন,
আরও পড়ুন: নবীজির প্রিয় ও পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে সিরাতের বই ‘নবীজির প্রিয় ১০০’
তোমরা আমাকে স্মরণ কর আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব এবং কৃতজ্ঞতা আদায় করো, অকৃতজ্ঞ হয়ো না। (সুরা বাকারা: ১৫২)
সুতরাং আমরা যখন আল্লাহর জিকিরে মশগুল হই তখন একথা স্মরণ করা কর্তব্য যে, স্বয়ং আল্লাহ তাআলাও আমাদেরকে স্মরণ করছেন। এতে জিকিরের স্বাদ ও মজা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাছের একটি ডাল ধরে ঝাঁকি দিলেন, কোনো পাতা পড়ল না। তিনি আবার ঝাঁকি দিলেন; এবারও কোনো পাতা পড়ল না। তবে তৃতীয়বার ঝাঁকি দেয়ার পর অনেক পাতা ঝরল। তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘নিশ্চয় সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা-ইলা-হা ইল্লাহ ও আল্লাহু আকবার বলা বান্দার গুনাহ ঝরিয়ে দেয়, যেমন (শীতকালে) গাছ তার পাতা ঝরায়।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১২৫৩৪)
জিকিরগুলো হলো:
এক. سُبْحَانَ اللَّهِ (উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহ) অর্থ: আর আল্লাহ তাআলা অতি পবিত্র।
দুই. اَلْحَمْدَ لِلَّهِ (উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহ) অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।
আরও পড়ুন: নবীজির ওপর দরুদ পাঠের ফজিলত
তিন. لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু) অর্থ: আর আল্লাহ তাআলা ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ নেই।
চার. وَاللَّهُ أَكْبَرُ (উচ্চারণ: ওয়াল্লাহু আকবার) অর্থ: এবং তিনি অতি মহান।
]]>