বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে যশোরে আদ-দীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে এ কথা বলেন তিনি।
নিপীড়নকারী, কর্মীদের রেখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগের লোকজন কীভাবে থাকে প্রশ্ন তুলে মাদানী বলেন, আল্লাহ এদের কানের মধ্যে সিল মোহর মেরে দিয়েছে, চোখের সামনে পর্দা ফেলে দিয়েছে। এরা শেখ হাসিনার আমলের নির্যাতন দেখেও দেখবে না। কারণ তাদের নেত্রী যেমন নির্লজ্জ; কর্মীরাও নির্লজ্জ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদ আর কোরআন তেলাওয়াতের বয়ান শুনিয়ে এমন কোনো অপরাধ নাই যা করেননি। এ জাতি অন্তর থেকে চেয়েছে, তাই আল্লাহ আমাদের শেখ হাসিনার জুলুম থেকে বাঁচিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রজব মাসের করণীয় ও বর্জনীয়
মাদানী বলেন, যারা ২০১৩ সালে রসুলের সম্মান রক্ষার্থে লেখালেখি করেছিল তাদের জেলে রেখে জুলুম করা হয়েছে। ‘র’-এর প্রেসক্রিপশনে ট্যাগ দিয়ে তাদের জঙ্গি বানানো হয়েছে। এক একজন ফাঁসির রায় নিয়ে দিন পার করছে। তারা এখনও মুক্তি পায়নি। আমরা কি তাদের ভুলে যাবো? আমরা আমাদের ভাইদের মুক্তি চাই। তাদের দ্রুত মুক্তি দেয়া হোক। তাদের মুক্তি ছাড়া আমাদের সকল আলোচনা মূল্যহীন।
আরও পড়ুন: এক মাহফিলে মামুনুল হক, আহমাদুল্লাহ ও আজহারী
দ্বিতীয় দিনের মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন মুফতি আমির হামজা। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) মাহফিলের শেষ দিনে আলোচনায় অংশ নেবেন দেশবরেণ্য আলেম ড. মিজানুর রহমান আজহারী ও শায়খ আহমাদুল্লাহ।