আলোচনায় সন্তুষ্ট নন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা, আন্দোলন চলবে

২ সপ্তাহ আগে
সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট নন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। তাই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় এই ঘোষণা দেন বিডিআর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান এই ঘোষণা দেন।

 

তিনি বলেন, ‘দয়া নয়, ন্যায্য অধিকার দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট নন তারা। তাই‌ সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। জনদুর্ভোগ এড়ানোর জন্য কোনো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে না৷’

 

বর্তমান তদন্ত কমিশন স্বাধীন নয় অভিযোগ করে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেলে বন্দিদের জামিন দিতে হবে।’

 

তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিডিআর সদস্যদের রাজপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলবে বলেও জানান তিনি।

 

যমুনা অভিমুখে যাওয়ার লক্ষ্যে সকাল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

 

আরও পড়ুন: আরও ৮৭ বিডিআর সদস্যের জামিন শুনানি শেষ, আদেশ পরে

 

তবে যমুনা যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায় আন্দোলনরত বিডিআরদের একদল প্রতিনিধি। আর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শাহবাগে অবস্থান করেন অন্যান্য বিডিআর সদস্যরা।

 

বিডিআর সদস্যদের যেসব দাবি

 

১) পিলখানাসহ সারাদেশের বিডিআর ইউনিটসমূহে বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচসহ) সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

 

২) পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সব বিধিনিষেধ বিশেষ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) ধারাটি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করতে হবে।

 

৩) ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্রপ্রহরী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনঃস্থাপন করতে হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন