বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে দেখা যায়। এতে যান চলাচল আবারও শুরু হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে সকাল থেকে বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন তারা।
সড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ, মাদ্রাসার মাঠটি তিন মাসের জন্য নেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরও মাঠটি ফিরিয়ে না দেয়া এবং গতকাল রাতে কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে মাদ্রাসার মাঠের গেটের তালাভাঙার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দেয় এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: মাদ্রাসা মাঠে আদালত বন্ধে বকশীবাজারে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
এদিকে, আজ ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জজ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের বাঁধা মুখে পড়েন। পরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর শুধুমাত্র জজকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। অবশেষে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার কাজ সম্ভব হচ্ছে না সেখান থেকে বেরিয়ে আসনে বিচারক।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
]]>