কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা নিষিদ্ধের পক্ষে ফের সাফাই গাইলেন ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গভির। দাবি করলেন, এই সংবাদমাধ্যম ইসরাইলের জন্য হুমকি। এতটাই যে, কেউ এই চ্যানেল দেখলেও যেন তাকে পুলিশে দেয়া হয়- এমন আহ্বান জানালেন তিনি। তার ভাষ্য, রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় কোনো আপস নয়।
তবে বাস্তবতা হলো, গাজা যুদ্ধের পর ইসরাইলি হামলায় নারী, শিশু, সাংবাদিকসহ বহু ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর প্রথম তুলে ধরে আল জাজিরাই। বিধ্বস্ত হাসপাতাল, ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মানুষ, সহায়হীন শিশুদের যেসব ছবি বিশ্ব দেখেছে তার পেছনে ছিল আল জাজিরার ক্যামেরা।
এই সত্য চিত্রই এখন ইসরাইল সরকারের চোখে ‘হুমকি’।
আরও পড়ুন: মোসাদের চুরি করা নথির জেরেই কি ইরান-ইসরাইল সংঘাত?
গত মে মাসে আল জাজিরার সাংবাদিক, প্রযোজক ও ক্যামেরাপারসনদের ইসরাইল ছাড়তে বাধ্য করা হয়। শুধু তাই নয়, জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষও পশ্চিম তীরে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।
বিশ্বজুড়ে সমালোচকরা বলছেন, এটি শুধু একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ওপর হামলা নয়, এটি সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। যুদ্ধের বর্ণনা ঠেকাতে যারা সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায় তারা আসলে ইতিহাসকে আড়াল করতে চায়।
]]>