আরতির মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা, মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের সুর

১ সপ্তাহে আগে
মহানবমীর সন্ধ্যা নামতেই ঢাকঢোলের বাদ্য, প্রদীপের আলোর ঝলকানি, অঞ্জলি আর মহা আরতিতে মুখর হয়ে ওঠে রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলো।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন অর্থাৎ নবমী তিথিতে দেবী ভক্তদের মনোবাসনা পূরণ করেন। আর তাই, অসুরবিনাশী দেবীকে ভক্তকূলের এই অঞ্জলি নিবেদন।  

 

যদিও সারা বছরের যে অপেক্ষা তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় এই নবমী নিশি। তবু সারাদিনের হৈ হুল্লোড় আর আড্ডা শেষে দেবী প্রতিমার কাছে প্রার্থনায় নত হন পুণ্যার্থীরা। তাদের প্রত্যাশা- সম্প্রীতি, মানবতায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই থাকবে এক হয়ে।

 

সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আসেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। অসাম্প্রদায়িক নতুন বাংলাদেশের পথে যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে তা অব্যহত থাকবে এমন প্রত্যাশা জানান তিনি।

 

আরও পড়ুন: রাজধানীর যেসব ঘাটে হবে প্রতিমা বিসর্জন

 

এর আগে নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা হয় এই সময়ে। মহানবমীতে দেবীর চরণে ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করেন পুরোহিত। ষোলো উপাচারে হয় ত্রিনয়নীয় আরাধনা।

 

শাস্ত্রমতে, মহানবমীতে সিদ্ধিদাত্রী রূপে ভক্তদের ঐশ্বরিক ও পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণের পাশাপাশি অজ্ঞতা দূর করেন ত্রিনয়নী।

 

আগামীকাল বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় জানাবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। বিষাদের সুর বাজলেও ভালো থাকার প্রত্যয় নিয়ে শারদীয়াকে বরণে আবারো অপেক্ষা এক বছরের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন