টি-টোয়েন্টিতে সাইম বিস্ফোরক ব্যাটার। এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৩৬ এরও বেশি। এখন সেটা প্রায় দুই কমেছে। কমবে না? ৬ ম্যাচের মধ্যে ৪ বার ডাক মারলে কমারই কথা। ডাক দিয়েই আসর শুরু হয়েছিল তার। ওমানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাক মারলেও বল হাতে ২ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ভারত ও আরব আমিরাতের বিপক্ষেও রানের খাতা খোলা হয়নি।
ওপেনিংয়ে টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর এই ব্যাটারকে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ওয়ানডাউনে খেলাচ্ছে পাকিস্তান। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষেও তা-ই। এ ম্যাচেও ডাক মেরেছেন সাইম, এবার অবশ্য ৩ বল খেলে। শেখ মেহেদীকে মিডঅনে চার হাঁকাতে গিয়ে রিশাদ হোসেনের ক্যাচে পরিণত হন।
আরও পড়ুন: শাহিন-হারিস ও নাওয়াজের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পাকিস্তানের
এশিয়া কাপের ৬ ম্যাচে সাইম নিয়েছেন ৬ উইকেট। পাকিস্তানের অন্য কারো তার চেয়ে বেশি উইকেট নেই, এখন পর্যন্ত তার সমান ৬টি উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বল হাতে উজ্জ্বল হলেও ব্যাট হাতে মলিন দশা আইয়ুবের। চারবার ডাক মারা ওপেনারের রান মাত্র ২৩। আর একটি ডাক মারলেই রেকর্ড গড়বেন তিনি।
৬ ম্যাচের মধ্যে ৪ ডাকে সাইমের ডাকসংখ্যা হলো ৯। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ডাকসংখ্যা উমর আকমলের—১০টি। আকমল ৮৪ ম্যাচের ৭৯ ইনিংসে ওই লজ্জার রেকর্ড গড়লেও সাইম অর্ধশত ম্যাচ খেলার আগেই ওই রেকর্ডে ভাগ বসানোর দ্বারপ্রান্তে। ৯টি ডাক মেরেছেন ৪৭ ম্যাচের ৪৫ ইনিংস খেলেই। যে ফর্মের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন, এটা চলতে থাকলে সাইম দ্রুতই আকমলকে পেছনে ফেলবেন। শুধু আকমল কেন, সর্বোচ্চ ডাকের হিসাবে শীর্ষে থাকা শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকে পেছনে ফেলতেও তো খুব বেশি দেরি লাগার কথা নয়। শানাকা ১১৩ ম্যাচের ১০২ ইনিংসে ডাক মেরেছেন ১৪ বার।