আব্দুল হামিদের মৃত্যুর বিষয়টি সময় সংবাদের প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী কোহিনুর আক্তার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়ার অভিযোগে গত ২১ এপ্রিল দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। এরপর তিনি আবুধাবি আল-সদর কারাগারে বন্দি ছিলেন।
কারাগারে থাকা অবস্থায় আব্দুল হামিদ পরিবারের সঙ্গে দুইবার যোগাযোগ করেছিলেন, জানান তার স্ত্রী কোহিনুর আক্তার।
পরিবারের দাবি, তিনি ২২ সেপ্টেম্বর মারা যান। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে দুবাইয়ের আবুধাবি দূতাবাস থেকে কাগজপত্রের জন্য পরিবারের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান কোহিনুর আক্তার।
দ্রুত সময়ের মধ্যে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে আব্দুল হামিদের পরিবার।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে: স্নিগ্ধ
এর আগে, কারাগারে থাকা অন্য বন্দিরা পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় আব্দুল হামিদের অসুস্থতার খবর দেন, পরে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা-এমনটি জানিয়েছেন আব্দুল হামিদের স্ত্রী।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসও আব্দুল হামিদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, দূতাবাস ইতোমধ্যে মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। মৃতদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ প্রতিবেদন ও মৃত্যু সনদ পাওয়া সাপেক্ষে মৃতদেহ যথা শিগগিরই সম্ভব দেশে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী অগ্রগতিসমূহ যথাসময়ে মহোদয়কে অবগতি করা হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়া আরও ২৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশি এখনও কারাবন্দি রয়েছেন।