দুবাইয়ে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফখর জামানের ফিফটির পর শাহিনের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ১৪ বল আগে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ম্যাচ রেফারি সংক্রান্ত ইস্যুতে দিনভর অনিশ্চয়তার পর পিসিবির নির্দেশে ম্যাচ খেলার জন্য দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে হোটেল ছাড়ে পাকিস্তান দল। ফলে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর মাঠে গড়ায় ম্যাচটি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিনও শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব। তৃতীয় ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন আরেক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানও। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক সালমানকে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন ফখর। ২০ রান করা সালমানের বিদায়ে থামে এই জুটি। ৩৫ বলে ফিফটি পূরণের পরের বলে আউট হন ফখর।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়েছেন অ্যান্ডি পাইক্রফট, দাবি পিসিবির
এরপরই ধস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে। ২৩ বলের ভেতর ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। এরপর শাহিন আফ্রিদির ১৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংসে দেড়শর কাছাকাছি পৌঁছায় পাকিস্তান। আমিরাতের হয়ে ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন ডানহাতি পেসার জুনায়েদ সিদ্দিকী।
সুপার ফোরে ওঠার লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হয় আরব আমিরাতের। তবে ২১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে স্বস্তি এনে দেন শাহিন। এরপর আবরার আহমেদ ও সাইমের ঘূর্ণিতে পাওয়ারপ্লেতে আরও ২ উইকেট তুলে নেয় তারা।
তৃতীয় উইকেটে রাহুল চোপড়া ও ধ্রুব পারাশারের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় আরব আমিরাত। কিন্তু ৪৮ রানের এই জুটি ভাঙার পরই সব আশা শেষ হয়ে যায় আমিরাতের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ ২০ রানে ৭ উইকেট হারায় আমিরাত।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি, আবরার ও হারিস। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করায় ম্যাচসেরা হয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। 'এ' গ্রুপ থেকে পাকিস্তান ও ভারত সুপার ফোর নিশ্চিত করল।