বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে অনলাইন-অফলাইনে হেনস্তা হওয়ার কথা জানান কাদের। মুক্তিযুদ্ধ ও রাজাকার ইস্যু নিয়ে কথা বলার পর থেকেই তাকে হেনস্তা করা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কাদের লেখেন, ‘আমার ডাকসুতে জিতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চাই। এতটুকু দয়া অন্তত আমাকে দেখানোর অনুরোধ।’
নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে কাদের লেখেন, ‘সেই রাজাকার নিয়ে কথা বলার পর থেকেই যে শুরু হইছে, প্রতিনিয়ত সেটা আরও বাড়তেছে। তারপর থেকেই আমি ঘুমাতে পারি না। মাঝরাতে জেগে যাই, শরীর কাঁপতে থাকে। একটা মানুষকে নিয়ে আর কত করবেন? মানুষের কতটুকুই বা ধৈর্য ক্ষমতা থাকে? আমি আর কতদিন নিতে পারব, জানি না।’
আরও পড়ুন: আমরণ অনশনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী
তিনি আরও লেখেন, ‘কেবল অনলাইনে এই হেনস্তাটা আমার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলেও মানা যাইতো, বাড়িতে গিয়ে আমার আম্মাকে পর্যন্ত কথা শুনাচ্ছেন! ১০ দিন আগের বক্তব্য কাট করে প্রপাগান্ডা না ছড়ালেও পারতেন। পুরা বক্তব্য তুলে ধরলে বক্তব্যের সারমর্ম বুঝতে পারতো মানুষ। কেবল তো শুরু, আরও ৫ দিন বাকি। ততদিনে কি যে ঘটবে, সেটা ভাবতে গেলে আরও বেশি ট্রমাটাইজড হয়ে যাই।’
ঠিক কারা কাদেরের সঙ্গে এমনটা করছেন, সেই বিষয়ে জানতে তার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের পাঁচ আগস্ট এক ফেসবুক পোস্টে কাদের অভিযোগ করেন, ইসলামী ছাত্রশিবির রাজাকারদের নরমালাইজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি লেখেন, ‘চব্বিশ দিয়ে একাত্তরকে মুছে দেয়ার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ছাত্রশিবির। তারা আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নিজামী-মুজাহিদ-কাদের মোল্লার ছবি টাঙাইসে। একাত্তরের অপরাধকে নরমালাইজ করার প্রচেষ্টা রুখে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এগুলো দেখে চুপ কেন?’
]]>