আমানতের দেড় হাজার কোটি টাকা ফিরে পেতে মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ঘেরাও

২ সপ্তাহ আগে
সমবায় সমিতিতে আমানতের দেড় হাজার কোটি টাকা ফিরে পাওয়ার দাবিতে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ভবনে তালা দিয়ে অবরোধ করে রেখেছেন সমবায় সমিতির হাজারো গ্রাহক।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়সহ ওই প্রাঙ্গণে থাকা অধিকাংশ সরকারি দফতরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে‌।


এর আগে সোমবার (২৩ জুন) একই স্থানে সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা।


সকালে সমিতির গ্রাহক হাজারো নারী পুরুষ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জড়ো হন। পরে পরিষদের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে কার্যালয়টি ঘেরাও করেন। এতে উপজেলা পরিষদসহ ২১ দফতরের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে আন্দোলনকারী তাদের আমানতের টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। গ্রাহকদের উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করার কারণে বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি।


আরও পড়ুন: টাকা আত্মসাৎ: সমবায় সমিতি শতদলের পরিচালক গ্রেফতার


সমিতির গ্রাহকরা বলেন, মাদারগঞ্জে ২৩টি সমবায় সমিতির মালিক ২০২২ সালের শেষের দিকে ৩৫ হাজার সমবায় সমিতির গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে যান। তাদের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। সমবায় সমিতির মালিকেরা আত্মগোপনে যাওয়ার পর তারা মাদারগঞ্জ থানা ও জামালপুরের আদালতে একাধিক মামলা করেছেন। এ ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছেন। জেলা প্রশাসক, জেলা সমবায় কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমানতের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।


অর্থ উদ্ধারের জন্য করা সহায়ক কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি সকাল থেকে শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকরা বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়ে আসছেন। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’


আরও পড়ুন: অসাধু সমবায় সমিতির খপ্পরে নিঃস্ব গ্রাহক, দেখার নেই কেউ!


জেলা সমবায় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকের ৭৩০ কোটি টাকা সমবায় সমিতি রয়েছে। ২৩টি সমিতির মধ্যে আল-আকাবা, শতদল, স্বদেশ, নবদীপ, হলিটার্গেট ও রংধনু সবচেয়ে বেশি টাকা। ছয়টি সমিতির কাছে জমা আছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়াও ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদরের কয়েক হাজার গ্রাহক আছেন। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি রয়েছে।


জেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, ‘তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। এ বিষয়টি সবাই জানে। গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরতের কোনো ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই।’


মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে দফতরগুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের আলোচনার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।’
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন