রোববার (০৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ আয়োজিত জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্যমত্য অপরিহার্য শিরোনামে জাতীয় সংলাপে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে দলের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু যেনতেন নির্বাচন চায় না দল।
একই অনুষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ এবং বহির্বিশ্বের হুমকি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল নানা কারণে সে ঐক্যে ফাটল ধরেছে।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আরও বলেন, নির্বাচন যত দেরি হবে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি তত বাড়বে।
এ সময় জামায়াতের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে আপত্তি নেই তাদের। তবে যেনতেন নির্বাচন না হয়।
আরও পড়ুন: বিচার ব্যবস্থাকে দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: ডা. তাহের
গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর মনে করেন,
সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে আবারও গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে। রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তনের জন্য একটি জাতীয় ঐক্যের সেটেলমেন্টে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী কিংবা পররাষ্ট্রনীতিও পরিবর্তন হয়। সুতরাং আমাদের এখানে একমত হতে হবে, কোন কোন জায়গায় ঐক্য থাকবে।
নুর বলেন, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কামব্যাক না করার প্রশ্নে সবাইকে পরিষ্কারভাবে অবস্থান নিতে হবে। অন্যথায় তারা কিন্তু বিদেশি শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোনো অনৈক্য তৈরি হয়নি। নির্বাচনের আগে সব সমস্যার সমাধান করা হবে, এই ধারনা ঠিক না।
প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ভাবনা চিন্তা থাকতেই পারে, অনৈক্যের কিছু নাই। ঐক্যের একমাত্র পথ হচ্ছে গণতন্ত্র। জনগণের হাতে ব্যালেট তুলে দেয়া এ কথা জানিয়ে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন,
নির্বাচন ব্যতীত কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। জাতীয় নিরাপত্তা সংসদে আলোচনার বিষয়। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।
]]>