ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট) ফেরত চেয়ে এ আবেদন করেন মেঘনা।
এরপর সংবাদমাধ্যমে বেশ কয়েকটি জোরালো যুক্তি তুলে ধরেন। মেঘনা বলেন, আমি মডেল নই, পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার। আমাকে গ্রেফতার নয়, বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছিল।
গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ পরিচয়ধারীরা প্রথমে আদমশুমারির লোক বলে পরিচয় দেন। শেষে আমাকে জানান আমার ঘরে মাদক রয়েছে। যেহেতু আমার ঘরে কোনো মাদক নেই তাই ওই রাতে কোনো অবস্থাতেই দরজা খোলা আমি নিরাপদ মনে করিনি।
এ মডেল আরও বলেন, আমার যে যে জায়গা থেকে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে তার সবই তারা আমার থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে।
হতাশ হয়ে এ মডেল বলেন, আমি চাই কালো আইন বিলুপ্ত হয়ে যাক। আমার কাছে মনে হয়, কালো আইনের ক্ষেত্রেও তারা সঠিক পদ্ধতি মানেনি। কারণ ওই রাতেই কোর্ট বসে। সিএমএম কোর্টের একজনকে দিয়ে দ্রুত অনুমতি নেয়া হয়েছে। অথচ তার আইনত কোনো অধিকার নেই সেটা করার। সে অর্থে ডিটেনশন আইনের (কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর মুক্তি না দিয়ে বিচার ছাড়াই আটক রাখার বিধান) প্রক্রিয়াটাও ঠিক নেই।
সবশেষে মেঘনা বলেন,
আইনি ভাষায় বলতে গেলে আমাকে আসলে আইনি আয়না ঘরে রাখা হয়েছে। জেলে রাখা হয়নি। কারণ একজনকে জেলে নেয়ার যে প্রক্রিয়া সেটাও আমার ক্ষেত্রে সঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: চরকির অসৌজন্যমূলক আচরণে বাচসাস-এর নিন্দা ও প্রতিবাদ
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। পরদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থাপন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনাকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ৩ জটিল রোগের কারণে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন না সালমান খান!
]]>