বিবিসিকে তিনি জানান, বাবা-মা ও তিন ছোট ভাইবোনসহ তারা গাজা সিটিতে এখনো অবস্থান করছেন।
সানাবেল বলেন, ইসরাইলি বিমান হামলায় তাদের অর্ধেকের বেশি বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজন নিহত হয়েছে। গত সপ্তাহে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের নিজেদের বাড়িটিও ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপর তারা গাজা শহরের এক বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।
বিবিসিকে পাঠানো এক অডিও মেসেজে তিনি বলেন, ‘জানি না কোথায় যাব।’ সানাবেলের অডিও মেসেজে ড্রোন ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
বিবিসি বলছে, নির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়াই এই পরিবারটি তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ছেড়েছে। হয়তো ভেবেছে গাজার দক্ষিণে যেতে হবে। যদিও গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের কেউ কেউ বলছেন যে দক্ষিণে যাওয়ার সাধ্য তাদের নেই। আবার অনেকে বলছেন, দক্ষিণ গাজা নিরাপদ নয়, কারণ ইসরাইল সেখানেও বিমান হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ইসরাইল’
ফিলিস্তিনি এই তরুণী কণ্ঠে ভয়, হতাশা আর কান্নার শব্দ স্পষ্ট। তিনি জানান, যুদ্ধ তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত করে তুলেছে।
বলেন, ‘আমি আর কোনো যুদ্ধ দেখতে চাই না।’
সানাবেল বলেন, ‘গাজায় আমরা সবাই কষ্টে আছি, সংগ্রাম করছি, আর এই পরিস্থিতি কখনোই স্বাভাবিক হবে না।’
ফিলিস্তিনি এই তরুণী বিবিসিকে তাদের বাড়ির ছবি পাঠিয়েছেন। তাতে দেখা যায়- গোলাপি রঙের ঘরটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, ধুলো ও ধ্বংসাবশেষে ভরা।
সানাবেল বলেন, ‘আমি তোমাকে আমার একটা ছবি পাঠাচ্ছি। আমরা আমাদের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি, দয়া করে আমাকে ভুলে যেয়ো না।’
আরও পড়ুন: ‘গাজা জ্বলছে’: মূল অভিযান শুরু করে বলল ইসরাইল
এদিকে, গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। মঙ্গলবার ৭২ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। একে এখন পর্যন্ত গাজা যুদ্ধ শুরুর পর জাতিসংঘের সবচেয়ে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই আল জাজিরাকে জানান, প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগ, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের প্রকাশ্য বক্তব্য ও নির্দেশেই গাজার গণহত্যা চালানো হয়। এই তিন জনের ভুলের দায় ইসরাইল রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
]]>