আমরণ অনশনে যাচ্ছে ময়মনসিংহের নটরডেম কলেজের বহিষ্কৃত ৭ শিক্ষক

১ সপ্তাহে আগে
ময়মনসিংহের নটর ডেম কলেজের সাতজন স্থায়ী শিক্ষককে বহিষ্কার ও কলেজ প্রশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বহিষ্কৃত শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা অবিলম্বে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার, মিথ্যা অভিযোগ বাতিল এবং স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান। সেইসঙ্গে তাদের প্রাপ্য পাওনাদি প্রদানের বিষয়সহ ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বহিষ্কার হওয়া রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজার রহমান রানা। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক জহিরুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাহামুদুল হাসান মামুন, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহমুদ হাসান এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম।


এর আগে গত ১৪ আগস্ট নটর ডেম কলেজের শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে, শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ১৯ দফা দাবি উত্থাপন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন তারা অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।


বহিষ্কৃত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, কলেজের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডে অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি চলছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে প্রমোশন দেওয়া হয়নি যদিওবা ৫ বছর পরপর প্রমোশনের নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না করে অধ্যক্ষ একচেটিয়া প্রশাসনিক কর্তৃত্ব বজায় রেখেছেন। কলেজের অভ্যন্তরে তথ্য গোপন, জবাবদিহিতার অভাব এবং পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: ঢাকায় শিক্ষক সমাবেশে আহত সেই শিক্ষকের মৃত্যু


তারা আরও বলেন, বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনেও রয়েছে অনিয়ম ও অসদাচরণ। এসব বিষয়ে শিক্ষকরা পূর্বে আন্দোলন করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের প্রাপ্য ৬০ লক্ষ টাকা ফেরত দেন এবং পরবর্তীতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। এদিকে প্রতিবাদী শিক্ষকদের হেনস্তা করতে আইন ও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ ড. ফা. থাদেউস হেম্ব্রম সাতজন শিক্ষককে বহিষ্কার করেন।


সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকেরা অবৈধ বহিষ্কার আদেশ, মিথ্যা অভিযোগ, আর্থিক অনিয়ম, প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা এবং রাষ্ট্রীয় নির্দেশ অমান্যের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।


কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার থাদেউস হেম্ব্রম বলেন, ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নিষেধ করলেও তা না শুনে আমাদের বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এসব বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের শোকজ দেওয়া হলেও উত্তর না দিয়ে পূণরায় আন্দোলন করে। এসব প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফা শোকজ দেওয়ার পর জবাব দিলে তদন্ত কমিটির তদন্তের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের বহিষ্কার করা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন