শনিবার বিকেলে (১৬ আগস্ট) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি দোকানেই আগের তুলনায় দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বেশি। সেইসঙ্গে আগের তুলনায় কমেছে দাম। দুদিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬০ থেকে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা এরশাদ বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০ টাকার মধ্যে সেই পেঁয়াজের বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াই ৭৫ টাকার উপরে। এমতাবস্থায় দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চরমভাবে বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। গত দুদিন আগেও ১ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৭৫ টাকা দিয়ে আজকে সে পেঁয়াজ কিনলাম ৬৪ টাকা কেজি।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা হাসনাত বলেন, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার মধ্যেই ছিল। বর্তমানে মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমতে শুরু করেছিল। এতে করে মোকামে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৪৭০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন বলেন, রোববার (১৭ আগস্ট) থেকে হিলিসহ দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এমন খবরে মোকামে যারা দেশীয় পেঁয়াজ মজুদ করছিল তারা সেসব পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন। এতে করে মোকামে আগের তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
এদিকে বিভিন্ন মোকামেও পেঁয়াজের দামে পড়েছে প্রভাব। আগে প্রতি মন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ২৬০০ থেকে ২৭০০ টাকায়। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২৩০০ থেকে ২৪০০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির গতি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।