শনিবার (০৫ জুলাই) এনবিআরের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এনবিআর জানায়, সরকারের অর্থ বিভাগের পরিচালনায় ‘এ চালান’ সরকারি রাজস্ব আহরণের একটি ওয়েবভিত্তিক সিস্টেম, যার মাধ্যমে আমদানিকারক, রফতানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট যে কেউ ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যাংকিং (ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড, এমএফএস ইত্যাদি) এর মাধ্যমে কাস্টমস ডিউটি জমা দিয়ে সিস্টেম জেনারেটেড রিসিপ্ট নম্বর দিয়ে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারবেন। পাশাপাশি যে কোনো ব্যাংকের (৬১ ব্যাংকের ১১ হাজার ৭০০ শাখা) যে কোনো কাউন্টারে অ্যাকাউন্ট ডেবিট অথবা চেক ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে শুল্ক-কর পরিশোধ করে আমদানি পণ্য দ্রুততম সময়ে খালাস করতে পারবেন।
এনবিআর আরও জানায়, গত এপ্রিল মাসে আইসিডি কমলাপুর কাস্টমস হাউসে প্রথম এ পদ্ধতিতে শুল্ক-কর আদায়ের পাইলটিং শুরু হয়। পরে পানগাঁও কাস্টমস হাউসে তা চালু করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গত বৃহস্পতিবার এ ব্যবস্থা চালু হয়। আগামী সোমবার (৭ জুলাই) থেকে ঢাকা কাস্টম হাউসসহ সব কাস্টমস হাউসে এ ব্যবস্থা চালু হবে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের ঊর্ধ্বতন ৪ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যমান ব্যবস্থায় করদাতারা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আরটিজিএস পদ্ধতিতে যে শুল্ক-কর জমা দেন, তা সরকারি কোষাগারে জমা হতে কয়েক দিন সময় লেগে যায়। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়। এখন থেকে দিন-রাত যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে ঘরে বসে অটোমেটেড চালানের মাধ্যমে অনলাইনে কাস্টমস শুল্ক জমা দিয়ে দ্রুততম সময়ে পণ্য খালাস করা যাবে। এ চালানের মাধ্যমে জমা দেয়া এ অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের নির্দিষ্ট কোষাগারে জমা হবে, যা সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এ নগদ অর্থ খরচ করতে পারবে।
এ বিষয়ে এনবিআর-এর শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসনের সদস্য মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সরাসরি সরকারি ট্রেজারিতে শুল্ক-কর জমা হওয়ার ফলে রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ এ আদায় প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে এবং সরকারের আর্থিক খাত আরও সুশৃঙ্খল হবে বলে আশা করছে এনবিআর। সূত্র বাসস
]]>