ফল পরিচর্যায় বাগানে এখন শেষ সময়ের ব্যস্ততা। জুনের মাঝামাঝি বাজারে আসবে হাঁড়িভাঙ্গা, গোপালভোগ, আম্রপালী, ল্যাংরাসহ নানা জাতের আম। দেশের বাজার ছাড়াও রংপুরের আম রফতানি হবে ইংল্যান্ড, ফ্রান্সসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে।
তবে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে এবারে ফলন কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন বাগানিরা। তারা বলেন, যেভাবে মুকুল ধরেছিল, সে অনুযায়ী ফলন হয়নি। যা আম হয়েছে, সেটিই পরিচর্যা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আম-আলু-লিচু নিতে চায় সিঙ্গাপুর
সব ঠিক থাকলে এবার বিভাগে ৮শ কোটি টাকার আম বেচাকেনার আশা করছে কৃষি বিভাগ। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার অতিরিক্ত খরার কারণে মুকুল ঝরে পড়েছে। তবে এরপরও ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।
নিবিড় পরিচর্যা করা হচ্ছে দেশখ্যাত দিনাজপুরের রসালো ও সুমিষ্ট লিচুও। তবে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক মাস। এই জেলার বেদানা, চায়না থ্রি ও বোম্বাই জাতের লিচু দেশের বাজার ছাড়াও রফতানি হবে ইউরোপে।
বাম্পার ফলনের অপেক্ষায় বাগান মালিকরা। এবার শুধু দিনাজপুরেই ৭শ কোটি টাকার লিচু ফলনের আশা বাগানিদের। তারা বলেন, এবার ভালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে বাম্পার ফলন হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম যাবে চীনের বাজারে, খুশি চাষিরা
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান বলেন, সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার ৯৭ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে। যা থেকে কৃষকরা ৭০০ কোটি টাকা আয় করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গবেষকদের মতে, সম্ভাবনাময় ও রফতানিযোগ্য এসব অর্থকরী ফলকে ঘিরে উদ্যোগ নিতে হবে ফলদ শিল্প গড়ে তোলার। গবেষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সুস্বাদু ফলকে কেন্দ্র করে শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলতে হবে। এটি করা গেলে ফলের ভ্যালু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
দিনাজপুরে ৫ হাজার ৪৮৪ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬২৮ মেট্রিক টন। আর বিভাগে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।
]]>