এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সে ম্যাচে এতটুকুও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি সালমান-শাহিনরা। তবুও ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর জন্য মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা, কিন্তু ভারতের ক্রিকেটাররা তাদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেননি। এমনকি টসের সময়ও হাত মেলাননি দুই দলের অধিনায়ক।
ভারতের ড্রেসিংরুমের সামনেও গিয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তবে তাদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ভারতীয়রা। আর তাতেই বেজায় চটেছেন এসিসি ও পিসিবির চেয়ারম্যান মহসীন নকভী। টসের সময় ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের ভূমিকা নিয়ে আইসিসির কাছে নালিশও করেছিলেন। এশিয়া কাপ থেকে তাকে সরানোর দাবিও করেছিল পিসিবি। তবে আইসিসিতে গিয়ে খুব একটা লাভ হয়নি, উলটো খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। কারণ পাইক্রফটকে সরানোর জন্য যে আবেদন করেছিল পিসিবি, তা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে আইসিসি।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এনসিএল
নকভি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন, ‘আইসিসির আচরণবিধি এবং এমসিসি’র ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’-সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করেছেন ম্যাচ রেফারি। তাই এশিয়া কাপ থেকে তাকে অবিলম্বে সরানোর জন্য আইসিসির কাছে পিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে।’
একজন আইসিসি সূত্র পিটিআইকে বলেন, ‘গতরাতের শেষভাগে ফিরতি বার্তায় আইসিসি পিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছে যে পাইক্রফটকে সরানো হবে না এবং তাদের আবেদন খারিজ করা হয়েছে।’
৬৯ বছর বয়সী জিম্বাবুয়ের এই অফিসিয়াল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের শেষ ম্যাচে (প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত) দায়িত্ব পালন করবেন। পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নাভেদ চীমা এসিসির কাছে আলাদা অভিযোগ জমা দিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে পাইক্রফটের নির্দেশেই রোববার দুই অধিনায়কের মধ্যে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী দলীয় তালিকা বিনিময় হয়নি।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বন্ধ করে ম্যানচেস্টার ডার্বি দেখেছেন গাঙ্গুলি
তবে এখন উপায়? কি করবে পাকিস্তান? উপায় আছে, তাদের সামনে এখন শুধুমাত্র দুটি রাস্তা খোলা আছে। প্রথমত আমিরাতের সঙ্গে ম্যাচ বয়কট করা, দ্বিতীয়ত ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া।
কিন্তু পাকিস্তান যদি এশিয়া কাপের ম্যাচ বয়কট করে, তাহলে এই সিদ্ধান্তের ফলে তারা টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে যাবে। ভারত ইতোমধ্যেই সুপার ফোরে পৌঁছে গেছে, আর পাকিস্তানকে যদি সুপার ফোর নিশ্চিত করতে হয়, তাহলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে আমিরাতকে তাদের হারাতেই হবে।
২ ম্যাচে একটিতে জিতেছে পাকিস্তান, তাদের পয়েন্ট মাত্র ২। অন্যদিকে আরব আমিরাতের পয়েন্টও ২। সেক্ষেত্রে তাদের বিপক্ষে পাকিস্তান যদি ম্যাচ বয়কট করে, তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ পয়েন্ট পাবে। যার ফলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে উঠে যাবে আমিরাত, আর বাদ পড়বে পাকিস্তান।
অন্যদিকে গত কয়েক বছর ধরে কোনো ফরম্যাটেই ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ব্যর্থ হচ্ছে পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে পিসিবির সম্পূর্ণ মনোযোগ তাদের দলের উন্নয়নের উপর থাকা উচিত।
]]>