আবারও জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডাকলেন মোদি

২ সপ্তাহ আগে
পহেলগামে ভয়াবহ হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির (সিসিএস) জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পহেলগাম হামলার পর দ্বিতীয়বারের মতো উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা এই বৈঠক ডাকলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে সিসিএস-এর এই বৈঠক শুরু হবে। পহেলগাম হামলার পর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে মোদির এটি দ্বিতীয় দফার বৈঠক। এই বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সিসিএস-এর সদস্য। তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

 

আরও পড়ুন: ‘ভারতের আক্রমণ আসন্ন’ এমন কথা বলিনি: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

 

এনডিটিভি বলছে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর প্রতিবেশী পাকিস্তান এটিকে যুদ্ধ ঘোষণার সমান বলে অভিহিত করেছে।

 

এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক থেকে ভারতের ভবিষ্যৎ প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সিসিএস-এর বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদির সভাপতিত্বে রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিপিএ) আরেকটি বৈঠক হবে।

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে অস্ত্র পাঠানোর খবরে কী বলল তুরস্ক

 

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও, সিসিপিএ বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডড়করি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

 

এর আগে পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সিসিএসের বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করা হয়।

 

গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন এবং ২০০০ সালের পর থেকে এটি ওই অঞ্চলে সবচেয়ে মারাত্মক সশস্ত্র হামলাগুলোর মধ্যে একটি। এ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টপাল্টি পদক্ষেপে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন