তিনি বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ কত নগ্ন ও নির্মমভাবে আমাদের ওপরে চেপে বসেছিল তার নৃশংস দৃষ্টান্ত এটা। একই সঙ্গে দেশে রাজনীতির নামে যে নীতিহীন স্বার্থবাদের প্যারাডাইম তৈরি হয়েছিল তারও একটি উদাহারণ। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হলে বিদ্যমান রাজনৈতিক প্যারাডাইম বদলাতে হবে। নতুন বন্দোবস্তের রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বুয়েটের শহীদ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, জান্নাতে আবরার ফাহাদের মর্যাদা আরও উন্নত হোক এই দোয়া করি। তার বাবা-মা, পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি। একই সঙ্গে আবরারের রক্তের দায় শোধ করার জন্য বাংলাদেশপন্থি ইতিবাচক রাজনীতি ও সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা করছি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচারের শিকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: চরমোনাই পীর
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বহুরৈখিক মাত্রা আছে। আবরারের মৃত্যু তার একটি দিক। তাকে যারা হত্যা করেছে তারাও বুয়েটের ছাত্র। তারাও মেধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মেধাবী সেই ছেলেগুলোকে খুনিতে রূপান্তরের দায় পুরোনো বন্দোবস্তের রাজনীতি এবং আওয়ামী লীগকে নিতেই হবে। অশুভ সেই রাজনীতি আমাদের হাজারো সন্তানকে অনকাঙ্খিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। হাজারো সন্তানকে খুনিতে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে আসছি। আবরার হত্যাকাণ্ডে তাদের ভূমিকার বিচার করলেই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ। কারণ যেদল তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্মম খুনিতে পরিণত করে, যেদল ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বলার কারণে দেশের নাগরিককে হত্যার উস্কানি দেয় তারা সকল বিবেচনাতেই দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে পুরোনো বন্দোবস্তকে আর সুযোগ দেয়া যায় না। সুযোগ দেয়া হবে না। আজকের দিনে এটাই হোক আমাদের সম্মিলিত প্রতিজ্ঞা।